অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, তারা যেমন কোনো অঘটনের জন্ম দিতে পারে ঠিক তেমনি আবার নতুন একটি ঘটনার মাধ্যমে আগেরটাকে হত্যা করে ধামাচাপাও দিতে পারে। আওয়ামী লীগের বিগত ১০ বছরের শাসনামলে দেখা গেছে চুরির ঘটনা ঢাকতে ডাকাতি করেছে। একটি হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করতে আরও ১০ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। এভাবে তারা একের পর এক অপকর্মের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে।
তাদের এসব অপকর্মের সর্বশেষ উদাহরণ হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে স্বর্ণ চুরি ও দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েবের ঘটনা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার কোনো প্রকার সুরাহা হওয়ার আগেই আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে সোনা চুরির ঘটনায় দেশের মানুষ শুধু ক্ষুব্ধ হয়নি, মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও দেখা গেছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞসহ সচেতন মানুষ মনে করছেন, এমন সংরক্ষিত জায়গা থেকে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার পক্ষে অর্থ বা স্বর্ণ চুরি করা সম্ভব না। তারা এতটা দুঃসাহস দেখাবে না। এই স্বর্ণ চুরির সঙ্গে সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজন সরাসরি জড়িত।
ভল্টের স্বর্ণ গায়েবের পর যখন সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় উঠলো, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যখন এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে লাগলেন। তখনই সরকার সোনা গায়েবের ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টিকে সরাতে জন্মদিলেন আরেক ঘটনার। হঠাৎ করেই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলো, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়লা গায়েবের ঘটনাটি অনেক আগের। সরকারের উপর মহলের কাছে এ তথ্য আগেই এসেছে। এ কয়লা চুরির ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেই তালিকাও সরকারের কাছে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে সোনা চুরির ঘটনায় যখন সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছে, তখনই এটাকে চাপা দিতে কয়লা গায়েবের ঘটনাটিকে সামনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিরির্ধারকরা মনে করছেন, সোনা চুরির ঘটনা চাপা দেয়ার জন্য কয়লা গায়েবের ঘটনার চেয়ে মুখ্য হাতিয়ার আর কিছু নেই। সরকারের এ সিদ্ধান্তের পরই পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বিষয়টিকে মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসেন।
এদিকে, কয়লা গায়েবের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ভল্টের সোনা চুরির ঘটনাটি মানুষ একেবারেই ভুলে গেছে। বলা যায় এক্ষেত্রে সরকার সফল।
রাজনীতিক বিশ্লেষকরা মনে বলছেন, সরকার কয়লা দিয়ে যেমন সোনা চাপা দিয়েছে, তেমনি আরেকটি নতুন ঘটনার জন্মদিয়ে কয়লা গায়েবের ঘটনাটিও ধামাচাপা দেবে। সেটা হয়তো বা আরও বড় কিছুও হতে পারে।