লেবাননের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফলে হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্ররা অর্ধেকের বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছে।সংসদের মোট ১২৮টি আসনের মধ্যে হিজবুল্লাহ ও তার মিত্ররা ৬৭টি আসন পেয়েছে।
এবারের নির্বাচনে হিজবুল্লাহর সঙ্গে জোট বেঁধেছে স্পিকার নাবিহ বেরির ‘আমাল মুভমেন্ট’ এবং প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন প্রতিষ্ঠিত ‘ক্রিশ্চিয়ান ফ্রি প্যাট্রিয়টিক মুভমেন্ট’।
সিরিয়া পরিস্থিতি এবং নির্বাচনী আইনের জটিলতার কারণে ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত তিনবার নির্বাচন অনুষ্ঠান পিছিয়ে গেছে। গত ৯ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম লেবাননে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনে ১২৮টি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫০০ প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে শতকরা ৪৯ দশমিক ২ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ সমর্থকরা বিজয়োল্লাস করছেন। এদিকে নির্বাচনে সাদ হারিরির নেতৃত্বাধীন সুন্নি জোট আসন হারালেও তিনিই প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।
লেবাননের সংবিধান অনুসারে, দেশটিতে খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে প্রেসিডেন্ট, সুন্নি মাজহাব থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং শিয়া মাজহাব থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচন করা হয়।
হিজবুল্লাহর এই বিজয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসরাইল। এর আগে লেবাননের হিজবুল্লাহর সাথে সর্বশেষ যুদ্ধে পরাজিত হয় ইসরাইল।
ইসরাইলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত লেবাননে হিজবুল্লাহর বিজয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল থেকে এটা স্পষ্ট লেবাননের সরকার ও হিজবুল্লাহর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি এক টুইটে এ কথা বলেন।
ইসরাইলি শিক্ষামন্ত্রী হুমকি দিয়ে বলেন, ইসরাইল লেবাননের সরকার ও হিজবুল্লাহকে অভিন্ন বলে মনে করে। এ কারণে ভবিষ্যতে যুদ্ধের সময় এ ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য করা হবে না।
সূত্র: নয়াদিগন্ত