অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সহকারী মহাসচিব পদে গত বছরের জুন মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল আহসানকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে শনিবার ভোট গ্রহণের আগ পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক দেশে দেশে গিয়ে ভোট ভিক্ষা করেছেন। এক্ষেত্রে তারা রাষ্ট্রের প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছেন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার প্রার্থীকে ভোট দিতে ১৮টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানকে অনুরোধ করেছেন।
কিন্তু, শনিবার দেখা গেল ফলাফল সম্পূর্ণ বিপরীত। ১৮টি ভোটের মধ্যে বাংলাদেশের প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৬টি। আর ১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন কাজাখাস্তান।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই সংস্থাটির মহাসচিব পদে নির্বাচন হয়েছিল। ওই সময় এই পদে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ।
তাকে প্রার্থী ঘোষণা করার পরই তখন তার বিরুদ্ধে আদা-জল খেয়ে মাঠে নামে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে প্রচার করে যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী। ৭১ সালের তিনি অনেক নারীকে ধর্ষণ করেছেন। মানুষ হত্যা করেছেন। তার মতো লোককে ভোট দিলে ওআইসি’র ভাব মর্যাদা নষ্ট হবে। শেখ হাসিনা এবং তার দলের নেতাদের অপপ্রচারের কারণেই মূলত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পরাজিত হয়েছিলেন।
আসলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মূখ্য বিষয় ছিল না। বিএনপির আমলে বাংলাদেশ যাতে ওআইসি’র মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কোনো পদে যেতে না পারে সেটাই ছিল শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের টার্গেট।
শনিবার সংস্থাটির সহকারী মহাসচিব পদে প্রার্থী দিয়ে মাত্র ৬ ভোট পাওয়ায় এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
অনেকেই শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন তাই তাকে কেউ ভোট দেয়নি। আপনার প্রার্থীতো যুদ্ধাপরাধী না। তাকে ভোট দেয়নি কেন? খালেদা জিয়া কারাগারে। বিএনপি নেতারাও নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন ও মামলা নিয়ে ব্যস্ত। আপনার প্রার্থীর বিরুদ্ধেতো কেউ অপপ্রচারও করেনি। তারপরও মাত্র ৬ ভোট পেল কেন?