অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে কোটা সংস্কার দাবির পক্ষে দাঁড়িয়ে ছাত্রলীগ থেকে গণহারে পদত্যাগ করছেন সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
পাশাপাশি চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং একাত্মতা ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে নিজেদের অবস্থানের কথাও জানান দিচ্ছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ট্যুরিজম এন্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাধারণ সম্পাদক সাইফ পদত্যাগের কথা জানিয়ে তার ফেসবুকে লিখেছেন- ‘ছাত্রলীগ জাতির পিতার নিজ হাতে গড়া সংগঠন। ছাত্রলীগ ডাকসুর ভূমিকা পালন করে। ছাত্রলীগ ছাত্রদের অধিকারে কাজ করে। ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের বন্ধু। যথেষ্ট। ছাত্রলীগের ভূমিকা কি দেখা গেলো। এই ছাত্রলীগ কোন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ করে জানি না। আমার বঙ্গবন্ধু আলাদা। তাই সজ্ঞ্যানে আমি ট্যুরিজম এন্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আর না, অনেক হয়েছে।’
আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেয়া ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক সহ-সভাপতি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি যৌক্তিক আন্দোলন। এ আন্দোলনে সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ রয়েছে। ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলনের বিরোধীতা করায় আমি সজ্ঞানে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করছি। শিগগিরই পদত্যাগপত্র জমা দেব।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. আছিবুর রহমান নিজের হাতে লেখা পদত্যাগপত্র ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমি লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী। আমি বিবেক বিক্রি করতে পারব না। Still I hope.. Reform BD Quota’
এ ছাড়া ছাত্রলীগের আরো বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ছাত্রলীগের বর্তমান অবস্থান নিয়ে ক্ষুব্ধ। এবং নিজেদের নাম দ্রুতই ছাত্রলীগের পদ থেকে প্রত্যাহার করে নিবেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি যৌক্তিক আন্দোলন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা করা মোটেও উচিত হয়নি। এর কারণে ছাত্রলীগের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হবে।
এসব বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।