অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আগামী ১৫মে অনুষ্ঠিতব্য খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেককে ‘উইনিং’ প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ এগিয়ে রাখলেও পরাজয়ের আশংকায় প্রার্থী হতে চাচ্ছেন না তিনি।
খুলনার রাজনীতি কোন্দলে জর্জরিত। এমন কোন্দলপূর্ণ অবস্থাও তাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে নিরুৎসাহিত করছে। উপরন্তু নির্বাচন করতে হলে মোংলা-রামপাল আসনের সংসদ সদস্যপদ ছাড়তে হবে। এসব বিবেচনায় সিটি মেয়র হিসেবে নির্বাচন করতে নারাজ তালুকদার খালেক।
তালুকদার আবদুল খালেকের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও স্বজনের সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
খুলনা জেলা আওয়ামীলীগ তালুকদার খালেককে প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রেখে কেন্দ্রে ১০ জনের নামের তালিকা পাঠিয়েছে। ইতোমধ্যে মনোনীত এসব প্রার্থীর অনেকেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা তালুকদার খালেক শনিবার (৭ এপ্রিল) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
মেয়র প্রার্থী হওয়ার ‘রিস্ক’ নিতে রাজি নন তালুকদার খালেক। তিনি মোংলা-রামপাল আসনের সংসদ সদস্য। পদ থেকে পদত্যাগ করে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে। পরে সিটি নির্বাচনেও যদি হারতে হয়! জেতার নিশ্চয়তা কে দেবে? এমন নানা আশঙ্কা থেকে তালুকদার খালেক মেয়র প্রার্থী হতে নারাজ।
খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিন্দুমাত্র আগ্রহ আমার নেই। তবে দলীয় সভাপতি ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা যদি আমাকে নির্দেশ দেন আমি প্রার্থী হবো।’
আওয়ামীলীগ তো খুলনায় আপনাকেই উইনিং প্রার্থী মনে করে— এ প্রসঙ্গে মন্তব্য জানতে চাইলে তালুকদার খালেক বলেন, ‘তাহলে ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে আমাকে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করা হয়নি কেন? তাহলে তো আমাকে সংসদ নির্বাচন করতে হতো না।’
তিনি বলেন, ‘আবার দাঁড়ালে সিটি নির্বাচনে জিতবো, এই গ্যারান্টি কে দেবে? তিনি বলেন, ‘আমি কারও খেলার ফুটবল হতে পারি না। তাছাড়া, আমার মোংলা-রামপাল সংসদীয় আসনের কী হবে?’