• যোগাযোগ
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home slide

রক্তাক্ত ৪ মার্চ ২০১৩ : ভয়াবহ সেই স্মৃতি আজো তাড়িয়ে বেড়ায়

মার্চ ৫, ২০১৮
in slide, Top Post, ফেসবুক থেকে
Share on FacebookShare on Twitter

সামসুল আলম বুলবুল

৪ মার্চ ২০১৩ সকাল আনুমানিক ৯.০০ -৯.৩০ টা। আমি সবেমাত্র বাসায় গিয়েছি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করার জন্য। আম্মু অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তখনও খেতে পারিনাই, এ সময় ফোন পেলাম মোড়ে (ওফাপুর) পুলিশের সাথে এলাকাবাসীর সমস্যা হয়েছে। সাথে সাথেই আমি বাইক নিয়ে মোড়ে চলে গেলাম। যেয়ে দেখি অন্তত এক দেড় হাজার লোকের সমাগম। পুরুষের সাথে প্রতিযোগীতা করে যেন মহিলারাও শামিল হয়েছে সেই জমায়েতে। তারা সবাই রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। শুনতে পেলাম সকালে স্থানীয় লোকজন রাস্তা অবরোধ করে রাখলে সেখানে স্থানীয় ২/১ জন আওয়ামীলীগ নেতা পুলিশ নিয়ে চড়াও হলে অবরোধ কারীদের ধাওয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

পরিস্থিতি যখন এমনি তখন আমি উধ্বর্তন দায়িত্বশীলদেরকে বিষয়টি ইনফর্ম করি। কিছুক্ষন পরে দায়িত্বশীলদের ফোন পেয়ে জানতে পারি যে আওয়ামীলীগের প্রেশারের কারনে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ফায়ারিং অর্ডারসহ ৪/৫ গাড়িতে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা আসছে,কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা পৌছে যাবে। তখনি আমি ওখানে অবস্থানরত সমবেত জনতাকে বিষয়টি ব্রিফ দেই এবং সবাইকে রাস্তা ছেড়ে ওফাপুর খাল পার হয়ে সরদার পাড়া জামে মসজিদের পাশ্বে যেতে বলি। রাসেল ভাই এবং কবির ভাইকে দায়িত্ব দিই সবাইকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা এ কথা শুনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাদের কথা একটাই, আমরাতো কারো কোনো ক্ষতি করিনাই শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ অবরোধ করেছি, তাহলে সেখানে কেন ২/১ জন চিহ্নিত লোক পুলিশ নিয়ে হামলা করতে এলো? যাইহোক অনেক বুঝিয়ে আমরা পুরুষ মানুষগুলোকে মসজিদ সংলগ্ন স্লুইসগেটের পূর্বপাশ্বে নিয়ে গেলাম আর মহিলারা ঈদগাহ’র ভিতর অবস্থান নিলো।

মূল ঘটনা হলো; ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ দেশ বিদেশে বিতর্কিত তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ (যুদ্ধাপরাধ) ট্রাইবুনাল হতে বিশ্ববরেণ্য মুফাস্সিরে ক্বুরআন আল্লামা দেলোয়ার হুসাইন সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে ফাঁসির দন্ড ঘোষিত হয়। এই রায় এদেশের ক্বুরআন প্রেমী মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তাইতো সারাদেশ বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। সংঘঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচাইতে বড় হত্যাকান্ড। সরকারী আদেশে শুধু ২৮ তারিখেই সারাদেশে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে পত্র পত্রিকার হিসাবেই শাহাদাত বরন করেন ৬৯-১৫০ জন ক্বুরআন/ সাঈদী প্রেমী মানুষ। সাতক্ষীরা শহরে বিক্ষুব্ধ জনতার উপর যৌথ বাহিনীর গুলিবর্ষণে শাহাদাত বরন করেন ১০ জন সাধারন মানুষ। সাধারন মানুষের উপর শাষকশ্রেনীর এমন নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং সাঈদী সাহেবের মুক্তির দাবিতে সারাদেশে চলতে থাকে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচাইতে নজীর বিহীন হরতাল অবরোধ। যে কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করে দল মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ। এমন কি হিন্দু- খ্রীষ্টানরাও এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করে। এরই অংশ হিসাবে সেদিন ছায়াঘেরা মায়াভরা সবুজ শ্যামলীমায় বেষ্ঠিত শান্তিময় গাঁ গাজনা,ওফাপুর,বসন্তপুর,মানিকনগর, ও বৈদ্যপুরের আবাল বৃদ্ধ বনিতা দলমত নির্বিশেষে শান্তিপূর্ণ অবরোধ সফল করতে শামিল হয় গাজনা-ওফাপুর মোড়ে,ঈদগাহ ময়দানে।

সকাল আনুমানিক ১১.০০ টার দিকে আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত যৌথ বাহিনীর কয়েকটি গাড়ি তালতলা মোড়ে এসে দাঁড়ায়। ২/১ মিনিট পরেই ফাকা ফায়ার এবং মহিলাদের উপর টিয়ারগ্যাস ছুড়তে শুরুকরে। আতংকগ্রস্থ মহিলারা ছুটোছুটি করতে থাকে। এসময় কামারালি গ্রামের সহজ সরল খেটে খাওয়া দিনমজুর দুই সহোদর প্রিয় আরিফ বিল্লাহ এবং রুহুল আমীন ভাই খেতের কাজ ফেলে রেখে মোড়ে সংঘর্ষের খবর শুনে ছুটে চলে আসে এবং আমাদের অবস্থান স্থলের দিকে না যেয়ে তাল তলার কাছে চলে যায়। আর ওফাপুর গ্রামের দিনমজুর শামসুর রহমান ভাই মাঠে ধান লাগানো অবস্থায় গুলাগুলি শুনে মোড়ে চলে আসে। কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই যৌথ বাহিনীর গুলি আরিফ বিল্লাহ ভাই’র হাটুতে বিদ্ধ করলে উনি পড়ে যান। সাথে সাথেই আরেকটি গুলি পার্শ্বে থাকা উনার বড়ভাই রুহুল আমীনের বুকে বিদ্ধ করলে আরিফ বিল্লাহ ভাই বড়ভাইকে ধরার জন্য উঠার চেষ্টা করা অবস্থায় আরেকটি গুলি এসে উনার গলায় বিদ্ধ হয়। পাশাপাশি দু-ভাই পড়ে থাকে।

ওদিকে শামসুর রহমান ভাই প্রাইমারী স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তলপেটে গুলি খেয়ে পড়ে যায়। তখনও পর্যন্ত আমরা জ্বামে মসজিদের পাশ্বে অবস্থান কারীরা কিছুই জানতে পারিনি, শুধু মুহুর্মুহু গুলি আর মহিলাদের সম্মিলিত চিৎকারের শব্দ শুনেছি। এ অবস্থায় আমি আর সম্মিলিত জনতাকে ধরে রাখতে পারিনি। শেষে দুভাগ হয়ে একভাগ রাসেল ভাই এবং কবির ভাই’র নেতৃত্বে খালের ধার দিয়ে, আর বাকী সবাইকে নিয়ে আমি ব্রীজ পার হয়ে ঈদগাহের ভিতর পৌছে যাই। সম্মিলিত জনতার প্রতিরোধের মুখে যৌথ বাহিনী ফায়ার করতে করতে কলারোয়ার দিকে চলে যায়।

আমাদের তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের মুখোমুখি হতে হয়। প্রথমে তালতলার মোড়ে আরিফ বিল্লাহ এবং রুহুল আমীন ভাইকে পড়ে থাকতে দেখে আমি হতবিহবল হয়ে যাই, এরি মাঝে ঈদগাহ’র পাশ্বেই প্রাইমারী স্কুলের সামনে শামসু ভাইকে পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে সেখানে যাই। একটা ভ্যানে তখনও মৃত্যুর সাথে লড়তে থাকা আরিফ বিল্লাহ এবং রুহুল আমীন ভাইকে সরসকাটি সাইমুম মেডিকেল সেন্টার ( নাসিমা নার্সিং হোম) এর উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়ে শামসু ভাইকে পাঠানোর জন্য ভ্যান ম্যানেজ করে তাকেও পাঠিয়ে দেই। মেডিকেল সেন্টারের ম্যানেজার আমার বন্ধু আনারুল কে ফোন করে সব কিছু জানিয়ে ভাইদের চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্রীফ দিয়ে আমি উধ্বর্তন দায়িত্বশীলদেরকে বিষয়টি অবহিত করি। পতিমধ্যে বৈদ্যপুরে যৌথবাহিনীর গুলিবর্ষণের কথা শুনে সরদার পাড়া হতে আমার বাইক নিয়ে সেখানে যাই এবং সার্বিক খোজখবর নেই। ওখান থেকে আমি সাইমুম মেডিকেল সেন্টারে যাই। ততক্ষণে প্রিয় আরিফ বিল্লাহ ভাই শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করে পরম করুনাময়ের সান্নিধ্যে চলে গেছেন, আর রুহুল আমীন ভাই আমার সামনেই মনে মনে বিড়বিড় করে কালিমা পড়তে পড়তে শাহাদাতের কোলে ঢলে পড়লেন।

আমি তখন হতবুদ্ধি হয়েগেছি। কি করব,কি করা উচিৎ কিছুই বুঝতে পারছিনা। শহীদ আরিফ বিল্লাহ এবং রুহুল আমীন ভাই’র ভাতিজা জাহাঙ্গীর ভাই আসলে একটা ভ্যানে প্রিয় দুই শহীদ সহোদর কে উঠিয়ে দিয়ে কামারালী শহীদের বাসার দিকে লাশ পাঠিয়ে দিয়ে আমি শামসু ভাই’র চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করতে থাকি। গোটা এলাকা অবরুদ্ধ থাকায় এ্যাম্বুলেন্স আসতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে। শেষে অনেক চেষ্টার পরে কলারোয়া হতে মেইন রোড বাদ দিয়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে একটা এ্যাম্বুলেন্স আনতে সক্ষম হই। শামসু ভাইকে এ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দিয়ে সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিই। হাসপাতালে আমার বন্ধু মুস্তাফিজ কে বিষয়টি জানিয়ে শামসু ভাই’র চিকিৎসার সার্বিক দেকভালের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে আমি প্রিয় শহীদ আরিফ বিল্লাহ এবং রুহুল আমীন ভাই’র বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। শহীদ সহোদরের বাসায় পৌছে আমি নির্বাক হয়ে যাই। শহীদের শোকার্ত সাথী, এলাকাবাসী আর স্বজনদের আহাজারীতে গোটা এলাকা যেন নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। আরিফ বিল্লাহ ভাই’র ছেলে রাশেদুল, মেয়ে পলি, রুহুল আমীন ভাই’র ছেলে আল-আমিন ও মেয়ে, দুই শহীদের স্ত্রী, ভাই-বোন, এবং আত্মীয় স্বজনের কান্না আজো আমায় পিছু ছাড়েনা। একসাথে দুই ভায়ের শাহাদাত গোটা এলাকায় বেদনাবিধুর পরিবেশ তৈরি করে। বিকালেই দুই শহীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কামারালী হাইস্কুল মাঠে। তারপর পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি কবর দেওয়া হয় প্রিয় শহীদ আরিফ বিল্লাহ এবং রুহুল আমীন ভাই কে। চারিদিকে বাশবাগান বেষ্ঠিত প্রকৃতির পরম মমতায় ঘেরা ছায়ার মাঝে চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে গেলেন প্রিয় দুই শহীদ সহোদর।

এতোক্ষণ ব্যস্ততার কারনে আমরা অনেক খবরই পাইনি। আস্তে আস্তে জানতে পারলাম ওফাপুর মোড়ে যৌথ বাহিনীর নির্দয় লাঠি চার্জে আহত হয়েছেন আমাদের হবি আংকেলের স্ত্রীসহ ২/৩ জন। ওদিকে যৌথ বাহিনী ফিরে যাওয়ার সময় বৈদ্যপুর মোংলার মসজিদের ওখানে সমবেত সাধারন মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি করলে সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আমাদের শফিকুল ভাই’র স্ত্রী শামসুন্নাহার ভাবি, আমার শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক আলহাজ্ব মাওঃ আব্দুল জব্বার সাহেবের একমাত্র ছেলে, একান্ত প্রিয় ছোট ভাই আবু উবায়দা এবং প্রিয় ছোট ভাই মিলনসহ আরো ৩/৪ জন।

এভাবেই ভয়াবহ একটা দিনের শেষে মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে “হাইয়া আলাস্সালাহ- হাইয়া আলাল ফালাহ” আহবানের মাধ্যমে সন্ধার আগমন হলো। মাগরিব নামাজ শেষে শামসু ভাই’র চিকিৎসার আপডেট জানার জন্য মুস্তাফিজ ভাইকে ফোন করে জানতে পারলাম উনার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, রাতে অপারেশন করা হবে। আমি বারবার উনার খবর নিতে থাকি এবং দায়িত্বশীলদেরকে জানাতে থাকি।

রাত আনুমানিক ৯/ ১০ টারর দিকে উনাকে ওটিতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষন পরে জানতে পারি প্রিয় শামসুর রহমান ভাই ও শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করে রাব্বুল আলামীনের সান্নিধ্যে চলে গেছেন। আমি কিভাবে এই সংবাদ দায়িত্বশীলদের এবং শহীদের আত্নীয় স্বজন ও এলাকাবাসী কাছে দিয়েছিলাম তা আজো ভেবে পাইনা। যাইহোক পরের দিন ৫ মার্চ পোস্টমর্টেম এবং অন্যান্য ফর্মালিটিজ শেষে দুপুরের দিকে শহীদের কফিন ওফাপুর মোড়ে আসে এবং বিকালে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ওফাপুর ফুটবল মাঠে। বিশাল বড় ফুটবল মাঠে তিলধারনের ঠাই ছিলোনা। জানাজা শেষে প্রিয় সাথীদের কাধে চড়ে শহীদ শামসুর রহমানের লাশ তার বাসায় নেওয়া হয়। শহীদের বাসার উত্তর পাশ্বে শেখপাড়া মসজিদের পূর্ব পাশ্বে শুইয়ে দেওয়া হয় প্রিয় শহীদ কে।

পৃথিবীর সকল মায়ার বাধন ছিন্ন করে প্রিয়তমা স্ত্রী, দুই ছেলে এবং এক মেয়ে ও মা,বোনসহ বন্ধু বান্ধব ও এলাকাবাসীকে শোকের সাগরে ভাঁসিয়ে শহীদ শামসুর রহমান চিরনিদ্রায় শুয়ে আছেন বাশবাগানের ছায়ায় প্রকৃতির পরম মমতায়।

এদিন গুলিবিদ্ধ আমাদের ভাবি শামসুন্নাহার, ছোটভাই আবু উবাইদা ও মিলন আজো সুস্থ হতে পারেনি। মিথ্যা মামলায় জেল খাঠতে হয়েছে তাদের। পুলিশের ভয়ে আজো তারা বাঁড়িতে ঘুমাতে পারেনা ঠিকমতো।

এদিনকার গোটা বিষয়টি যখন ভাবি তখন আজো আমার ভিতর রক্তক্ষরণ হয়। আজো শহীদ আরিফ বিল্লাহ, রুহুল আমীন এবং শামসুর রহমান ভাই’র মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গনের দৃশ্য আমাকে শূলবিদ্ধ করে। আজো শহীদের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, আত্মীয় -স্বজনের বোবাকান্না এবং দুচোখের নির্বাক চাহনি আমার হৃদয় তন্ত্রীতে বেদনার বান বইয়ে দেয়। মনেহয় আমার কোনো ভুলের কারনে প্রিয় তিনজন ভাই কে জীবন দিতে হয়নিতো…!
তখন আবার মনের গহীন থেকে ভেসে আসে, না; তা হবে কেন…!

তাই যদি হবে তাহলে এই তিনজন ভাই কেন খেতে কাজ করা অবস্থায় সব ছেড়েছুড়ে আমাদের অবস্থান স্থলে না যেয়ে একেবারে যৌথবাহিনীর সামনে পড়ে যাবে..?

আর কেনই বা যৌথবাহিনী তাদের উপর গুলিচালাবে..? আলাদা অবস্থান থেকে এরা তিনজন কিইবা ক্ষতি করতে পারত যৌথ বাহিনীর…?

আসল ঘটনাতো এটাই যে মহান করুনাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে কবুল করেছিলেন তার প্রিয় বান্দাহ হিসাবে,শহীদ হিসাবে।

রাব্বুল আলামীন তুমি প্রিয় শহীদ আরিফ বিল্লাহ,রুহুল আমীন এবং শামসুর রহমান ভাই’র শাহাদাত কে কবুল করো,তাদেরকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করো,তাদের পরিবারকে হিফাযত করো। গুলিবিদ্ধ আহত প্রিয় ছোট ভাই আবু উবাইদা,মিলন এবং শামসুন্নাহার ভাবিকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করো। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বকে তুমি হিফাযত করো। বাংলাদেশকে একটি সুখি -সমৃদ্ধশালী ন্যায়-ইনসাফপূর্ণ কল্যান রাষ্ট্রে পরিনত করো।

বি:দ্র: দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বুকের ভিতর জমেথাকা কষ্টগুলোর লেখ্যরুপ আজকের এই প্রবন্ধ। অনেক বড় হয়ে গেছে,কিন্তু কিছুই করার ছিলনা। আরো অনেক বিষয় বাদ পড়েগেছে সংক্ষিপ্ত করার কারনে।

লেখকের ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা
Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ‘হেল্প সেল’ এর তৎপরতা বন্ধ করতেই ছাত্রদল নেতা নুরুকে হত্যা?

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধে আল্লামা সাঈদীর ভূমিকা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • বসুন্ধরার মালিকের পরিবারে চাঞ্চল্যকর যত খুন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ৫০ হাজার টাকার বেতনেও চালেনা না সংসার

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD