মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে আরও কঠোর হচ্ছে ভারত। সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর এবার রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে মরিচের গুঁড়া ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার শুরু করেছে ভারত। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দিল্লিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন, আমরা তাদের গুরুতর আহত বা গ্রেফতার করতে চাই না। কিন্তু ভারতের মাটিতে রোহিঙ্গাদের সহ্য করা হবে না।
স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এর শব্দ ও আলোর ঝলকানি মানুষকে অচেতন করে ফেলে কিন্তু শারীরিকভাবে আহত করে না। আর মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ব্যবহারে শরীরে জ্বালাপোড়া হয়। ব্যক্তি সাময়িকভাবে অনেকটা সম্বিত হারিয়ে ফেলেন।
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বিএসএফ-এর ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ভারতে প্রবেশে চেষ্টাকারী কয়েকশ রোহিঙ্গাকে তাড়িয়ে দিতে আমরা মরিচের গুঁড়াযুক্ত গ্রেনেড ব্যবহার করছি।
বিএসএফ-এর উপ-মহাপরিদর্শক আর. পি. এস জসওয়াল বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের বড় অংশের টহল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সীমান্তরক্ষীরা মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করছে।
এর আগে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দেয় ভারত। সমুদ্রপথ ব্যবহার করে রোহিঙ্গা মুসলিমরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেয় দিল্লি। ভারতের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সমুদ্রসীমা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর অত্যাধুনিক ‘ডর্নিয়ার’ মেরিটাইম পেট্রোল উড়োজাহাজ, হোভারক্রাফট এবং জাহাজ টহলের ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে পুরো এলাকাতেই এটা করা হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গাদের একটি প্রধান হুমকি মনে করে ভারত। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়, তারা অবৈধ অভিবাসী।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
Discussion about this post