অপহৃত হওয়ার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের শিল্পশহর নওয়াপাড়া থেকে উদ্ধার হয়েছেন লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব। বাসটি খুলনা থেকে ছেড়ে আসে।
পরে তাকে স্থানীয় অভয়নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই কড়া প্রহরায় তাকে পার্শ্ববর্তী ফুলতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তাকে ঢাকায় আনার পর আদাবর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিভিন্ন সংবাদপত্র মারফত জানা যায়, তিনি সোমবার রাত ৮টার দিকে খুলনার গ্রীল হউস হোটেলে ভাত ডাল সবজি খেয়েছেন। হানিফ পরিবহনের বাসে তিনি গফুর নামে টিকিট কাটেন। সিসিটিভি ফুটেজে তিনি এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেও পুলিশ বলছে তাকে ব্যাগসহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে অপহরণের পর ফরহাদ মজহার ফোনে স্ত্রীকে ‘ওরা আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’ বললেও পুলিশ বলছে তিনি স্বেচ্ছায় খুলনায় ভ্রমণ করেছেন।
এসব বিষয়ে সর্বমহলে নানা প্রশ্ন ও রহস্যের তৈরি হয়েছে। প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফারুক ওয়াসিফ তার ফেসবুক ওয়ালে এই ঘটনা নিয়ে কিছু প্রশ্ন রাখেন। তাঁর প্রশ্নগুলো হলো-
– মাইক্রোবাসে করে গিয়ে বাসে ফিরলেন কেন?
– সেই মাইক্রোবাসটি কার? কে চালিয়েছিল? কোথায় তা এখন?
– সন্ধ্যা পর্যন্ত চোখ বাঁধা ছিল কেন? (যুগান্তর)
– যিনি ফিরে অাসছেন বা যাঁকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, তিনি/তাঁকে কেন ছদ্মনামে লুকিয়ে বাসে ওঠানো হলো? এগেইন, ওই মাইক্রোবাস কেন ফিরলো না?
– গ্রিল হাউসে কবে থেকে ভাত-ডাল-সব্জি বিক্রি হয়?
– তাঁকে কেন র্যাব ক্যাম্পে নেয়া হয়েছিল কেন? তখনই তো তাঁকে পরিবারে বা হাসপাতালে পাঠিয়ে চেকাপ করানোর কথা।
– কার ফোন পেয়ে তিনি বের হন?
– সিসিটিভি ফুটেজে একবস্ত্রে বের হওয়া ব্যক্তি কীভাবে ব্যাগসহ ‘উদ্ধার’ হন?
– ৩৫ লাখ টাকার মুক্তিপণের ফোন কেন করানো হয়েছিল?
– ভারতে মুসলিম নিধন নিয়ে প্রতিবাদের পরপরই কেন এটা ঘটলো?
– নিজেকে ‘গুম’ দেখিয়ে ওনার কী লাভ?
– অসুস্থ, বিভ্রান্ত ও নির্বাক দেখাচ্ছিল কেন তাঁকে?
– অতীতের নিখোঁজেরা ফিরে এসে কেন চুপ হয়ে যান?
– অতীতের ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধের সরকারি গল্পগুলো কী এবারের গল্পের মতোই?
– মেগাসিরিয়ালের পরের ভানুমতীর খেল কী?
Faruk Wasif এর ফেসবুক স্ক্রীনসট।
Discussion about this post