• যোগাযোগ
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মদদ

মে ১২, ২০১৭
in Home Post, আন্তর্জাতিক
Share on FacebookShare on Twitter

মিয়ানমারে ইয়াঙ্গনের কাছে স্থানীয় মুসলিমদের সঙ্গে মারপিটের পর সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ সাতজন বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

বেশ কিছু বৌদ্ধ “অবৈধ” রোহিঙ্গা মুসলিমদের খোঁজে মিঙ্গালার তং নিয়ুন্ত এলাকায় চড়াও হয়।

এই ঘটনায় সংঘাতে সেখানে অন্তত এক ব্যক্তি আহত হয়।

মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা ক্রমশই সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রতি বৈরি হয়ে ওঠার পটভূমিতে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটল।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী বুধবার সকালের দিকে একদল বৌদ্ধ ভিক্ষুর নেতৃত্বে কিছু জাতীয়তাবাদী ব্যক্তি ইয়াঙ্গনের ওই এলাকায় হাজির হয়ে দাবি করে সেখানে মুসলমান রোহিঙ্গারা “অবৈধভাবে” বসবাস করছে।

সেখানে মারামারি শুরু হয়ে গেলে, পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে হুঁশিয়ারি দিয়ে গুলি ছোঁড়ে।

যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুজন বৌদ্ধ ভিক্ষু।

সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার অপরাধে মিয়ানমারে দুবছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান আছে।

সাম্প্রতিক কয়েক মাসে কট্টরপন্থীরা ইয়াঙ্গনে (সাবেক নাম রেঙ্গুন) প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে, মুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে বাধা দিয়েছে এবং খুবই সম্প্রতি দুটি স্কুলকে সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য করেছে এই অভিযোগ তুলে যে তারা অবৈধভাবে ওই স্কুল দুটিকে মসজিদ হিসাবেও ব্যবহার করছিল।

মিয়ানমারে আনুমানিক দশ লক্ষ মুসলমান আছেন যারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দেন।

মিয়ানমার সরকার তাদের বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসাবে দেখে। মিয়ানমারের বেশিরভাগ মানুষেরও এটাই ধারণা।

মিয়ানমার তাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করে আসছে এবং তাদের জীবনযাত্রার উপর ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিরোধী বক্তব্যের পেছনে মূল চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছেন কিছু বৌদ্ধ ভিক্ষু

কীভাবে বৌদ্ধ ভিক্ষুর রোষের মুখে পড়েন ইয়াঙ্গনে বিবিসির সংবাদদাতা জোনা ফিশার

যে দুজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে তাদের একজনের সঙ্গে আমার আগে দেখা হয়েছিল।

কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদী একটি ছোট গোষ্ঠির সদস্য এই ভিক্ষুর নাম উ থু সিত্তা। ফেব্রুয়ারি মাসে ইয়াঙ্গনে এক বন্দরের সামনে তাকে বিক্ষোভ করতে দেখেছিলাম। অবরুদ্ধ রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সাহায্য নিয়ে তখন সেখানে আসছিল একটি মালয়েশিয় জাহাজ।

ওই ভিক্ষুরা এবং তাদের সমর্থকরা যখন রোহিঙ্গা বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম অভুক্ত মানুষের কাছে খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার বিরোধিতা যে তারা করছেন, বৌদ্ধ মতাদর্শের আলোকে সেটা তিনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

উ থু সিত্তা জবাব দিয়েছিলেন, কিন্তু আমার প্রশ্ন তিনি পছন্দ করেন নি। আমি যখন তার সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম, তখন বেশ কয়েকবার তিনি আমার দাঁড়ানোর ভঙ্গি নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। প্রথমে বলেছিলেন আমি যেন আমার হাত পেছন থেকে সরাই – দ্বিতীয়বার বলেছিলেন প্যান্টের পকেট থেকে যেন আমি হাত বার করি।

তিনি বলেছিলেন আমার আচরণ বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য অসম্মানজনক। দুবারই আমি দুঃখপ্রকাশ করি এবং সাক্ষাৎকার গ্রহণ সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিই।

কিন্তু তার বেশ কয়েকজন সমর্থক তাদের ফোনে আমাদের কথাবার্তার ছবি তোলেন। এবং সেই সন্ধ্যায় তাদের তোলা ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

দুটি ভিডিও কয়েক লক্ষ মানুষ দেখেন এবং তার নিচে ব্যাপক বৈরিতাপূর্ণ মতামত দেন। তাদের অনেকেই আমাকে দেশ থেকে বের করে দেবার আহ্বান জানান। আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য ছাপিয়ে দেওয়া হয়এবং আমাকে কয়েকবার এমনকী প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়।

সাবেক সামরিক জান্তা সরকারের বিশিষ্ট মন্ত্রীসহ বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি ওই পোস্টগুলো দেখেন।

পরের কয়েক সপ্তাহে আমি আবিষ্কার করি আমি যত কাজ করেছি তার মধ্যে ওই ভিডিও সাক্ষাৎকারটি ছিল মিয়ানামারের জনগণের কাছে সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদ ভিডিও।

এই প্রথমবারের মত অং সান সু চির সরকার উ থু সিত্তার মত জাতীয়তাবাদী ভিক্ষুদের গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করে অন্তত এটা দেখাতে চাইছেন যে জাতীয়তাবাদী ভিক্ষুদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী।

তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে এটা পরিষ্কার মিয়ানমারে এই জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠি ও এধরনের বৌদ্ধ সমর্থকদের মতাদর্শে সোচ্চার হওয়ার মত মানুষের অভাব নেই।


মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। কয়েক দশকের সামরিক শাসনের সময় কখনও কখনও তা স্তিমিত থেকেছে, কখনও আবার তা অগ্ন্যুৎপাতের মত বিস্ফোরিত হয়েছে।

মার্চ মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বলেছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের অভিযোগ তারা তদন্ত করবে।

গত ছয় মাসে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা নির্যাতন থেকে বাঁচতে মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়েছে। জাতিসংঘ তাদের গণধর্ষণ ও হত্যার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

Save

সম্পর্কিত সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা
Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ‘হেল্প সেল’ এর তৎপরতা বন্ধ করতেই ছাত্রদল নেতা নুরুকে হত্যা?

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধে আল্লামা সাঈদীর ভূমিকা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ৫০ হাজার টাকার বেতনেও চালেনা না সংসার

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • বসুন্ধরার মালিকের পরিবারে চাঞ্চল্যকর যত খুন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD