অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
হাওরে আকস্মিক বন্যায় দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গত রোববার সুনামগঞ্জে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিদর্শনকালে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণকালের একটি ছবি নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ছবিটিতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণের সিরিয়ালে দাঁড়ানো মহিলাদের সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এই ছবিটার পাশাপাশি বিডিনিউজে প্রকাশিত আরেকটি ছবিতেও একই চিত্র দেখা গেছে। আর এটা নিয়েই সবাই প্রশ্ন তুলছে, দুর্গত এলাকার সবাই কি হিন্দু? সেখানে কি অন্য ধর্মাবলম্বী কেউ নেই?
ফেসবুকে গোল চিহ্নিত এই ছবিটি পোষ্ট করে একেকজন একেক ধরণের মন্তব্য করছেন। অনেকে বলছেন, এমন সংকটময় মুহুর্তেও শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতি করেছেন। সংখ্যালঘুদের নিজ হাতে ত্রাণ বিতরণ করেছেন, আর অন্যদেরগুলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে দিয়ে মুলত তাদেরকে ত্রান লুটপাটের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের ত্রান লুটপাটের অসংখ্য খবর পত্রিকাতেও আসছে।
ছবিটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোষ্ট করে অধ্যাপক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেছেন- ‘শেখ হাসিনার হাওর সফরে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের এই চিত্র থেকে একটা প্রশ্ন ওঠা খুবই স্বাভাবিক। প্রশ্নটি হচ্ছে- দুর্গতরা কী সবাই একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ? এবার আসুন আমি কতটা সাম্প্রদায়িক সেটা নিয়ে আলোচনা করি ‘
বেলাল উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, ‘তারা বলে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। এটা কি নীতি আমার বুঝে আসে না।’
আহমদ ইবনে মনির নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মুসলিম প্রবেশাধীকার সংরক্ষিত…!!!’
সোহেল রানা নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘হতে পারে, যখন হিন্দু মহিলাগুলো একসাথে আসছে তখনই ছবিটা নিছে, এটা নিয়ে সমালোচনা করার কিছু নেই, এরা ও বাংলাদেশী… এরাও মানুষ..’
সোহেল রানার এই মন্তব্যে বেলাশেষে একাত্তর নামে একজন জবাব দিয়েছেন, ‘যখন আ লীগ করে তখন সবই স্বাভাবিক অন্ধরা নিজের দোষ দেখে না, সৎ মা কখনও নিজের পোলার দোষ দেখেনা, সব দোষ সতীনের পোলার।’
Discussion about this post