শেখ মামুনূর রশীদ
নানা রকম স্বার্থের ভাগাভাগি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে সংঘাত-সহিংসতা বেড়েই চলেছে।
প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সরকারি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এমনকি খুনোখুনির মতো ঘটনা ঘটছে।
শুধু টেন্ডারবাজির ভাগাভাগি নয়, যেখানেই ক্ষমতা আর নানা রকম অর্থকড়ির স্বার্থ আছে সেখানেই নিজেরা দ্বিধাবিভক্ত। কোথাও কোথাও ক্ষমতাসীন দল তিন-চার ভাগে বিভক্ত।
কেউ এমপির লোক, কেউ উপজেলা চেয়ারম্যানের। আবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি-সেক্রেটারি এমন মর্যাদার জনপ্রতিনিধি না হলে তাদেরও পৃথক গ্রুপ থাকে।
এদিকে এই ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ বিরোধ এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক সাংগঠনিক এলাকায় আওয়ামী লীগই এখন আওয়ামী লীগের মুখোমুখি।
পিছিয়ে নেই দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা বরং মূল দলের চাইতেও বেশি বেপরোয়া এবং মারমুখী।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে দলকে ভবিষ্যতে বেকায়দায় ফেলতে প্রতিপক্ষ কোনো দলের প্রয়োজন হবে না।
ভাগাভাগির এ বিরোধ মেটাতে কেন্দ্র থেকে বারবার লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে। দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধ মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন। চেষ্টার কমতি নেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরেরও। কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে বহিষ্কারও হচ্ছে। যদিও তা ক্ষণস্থায়ী।
সূত্রগুলো বলছে, ইদানীং ভাগাভাগির দৌড়ে ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্টরা এতটা বেপরোয়া যে, ‘ধরো, মারো, কাটো, তবুও নিজের স্বার্থ হাসিল করো’। ‘দল গোল্লায় যাক। আগে নিজের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামাতে হবে’। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। আওয়ামী লীগসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়াচ্ছে। মাঝেমধ্যে লাশ পড়ছে। দল ক্ষমতায় থাকতেও রক্ত ঝরছে নিজ দলের কর্মীর হাতে। সন্তান হারাচ্ছেন কেউ কেউ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে এ দলটি। আওয়ামী লীগের রয়েছে বিশাল কর্মী ও সমর্থক বাহিনী। রয়েছে সুনির্দিষ্ট আদর্শ ও লক্ষ্য। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই দলটি লক্ষ্যচ্যুত পথে হাঁটতে শুরু করেছে(?) ত্যাগী-আদর্শবান নেতাকর্মী ও সমর্থকরা দিন দিন কোণঠাসা হয়ে পড়ছে, তাদের স্থানে চালকের আসনে বসে পড়েছে স্বার্থান্বেষী এবং সুবিধাবাদীরা।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, আদর্শহীন, স্বার্থান্বেষী এবং সুবিধাবাদীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ‘হাইব্রিড’, কিংবা দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় ‘কাউয়া’ ও ‘ফার্মের মুরগি’ নামক লোকজন দলটিতে এখন আস্তানা গেড়ে বসেছে। যাদের অনেকে আবার ক্রীড়নকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এদের মূল লক্ষ্য- দলের স্বার্থ দেখা নয়, বরং দলকে ব্যবহার করে ক্ষমতার স্বাদ নেয়া, নিজের আখের গোছানো এবং রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া। আর এ পথকে নির্বিঘœ রাখতে তারা দলের মধ্যে বিরোধ, বিভেদ, কোন্দল জিইয়ে রাখছে। এমনকি শতভাগ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় দলের লোকজনকেই হত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
‘লুটপাটের ভাগবাটোয়ারার কারণেই শাসক দলটিতে এত খনোখুনি’ বলে দাবি করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি ও দেশের শীর্ষ বাম রাজনীতিবিদ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘লুটপাটের ভাগবাটোয়ারার কারণেই শাসক দলটিতে এত খুনোখুনি হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশে খোলাবাজারের নামে লুটপাটের যে অর্থনীতি চালু করা হয়েছে, সেই লুটপাটের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বড় দুটি দলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা অপগোষ্ঠী পরস্পর দ্বন্দ্বে লিপ্ত। আর তা থেকেই দেশে এই হানাহানি ও খুনোখুনির সূত্রপাত। একই কারণে শুধু দুই দলের মধ্যেই নয়, অন্যান্য দলের অভ্যন্তরেও স্বার্থের দ্বন্দ্ব অব্যাহত আছে।’
বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক মনে করেন, আওয়ামী লীগে অপরাধী চক্র প্রবেশ করেছে বলেই এত হানাহানি-খুনোখুনি। বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অংশ অপরাধী চক্রে পরিণত হয়েছে। নিজ নিজ এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য এই অপরাধী চক্র সংঘাত-সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। ফলে মারামারি, হানাহানি, আহত-নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
’ ড. শাহদীন মালিক আরও বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই অপরাধী চক্রের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না। আর যদি তারা এদের লাগাম টেনে ধরতে সত্যিই ব্যর্থ হন, তাহলে এর দায়ভার তাদেরই নিতে হবে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, আওয়ামী লীগে ত্যাগী নেতাকর্মীরা উপেক্ষিত।
‘হাইব্রিড’, ‘কাউয়া’, ‘ফার্মের মুরগি’ বলে পরিচিতরা এখন দলের সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করে আছে। এরাই রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিটি স্তরে নিজের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব এবং আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে।
শুধু তাই নয়, এরা টেন্ডারবাজি ও চাঁদার ভাগবাটোয়ারা নিয়ন্ত্রণ করছে। কে, কোথায়, কিভাবে দলে থাকবে, তা ঠিক করে দিচ্ছে। আর যারা এসব অন্যায়-অপকর্মের প্রতিবাদ করছেন, তাদেরকে পথের কাঁটার মতো সরিয়ে দিতে খুন করা হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এসব খুনের বিচারও হচ্ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে খুনির সাজা মওকুফ করে দেয়ার ঘটনাও ঘটছে।
এদিকে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে কেউ কথা বলতে চান না। বৃহস্পতিবার দলটির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার মন্তব্য জানতে চাইলে তারা প্রত্যেকেই বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজেরাই নিজেদের এখন প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তিস্বার্থ, কমিটি গঠন, আপন বলয় তৈরি প্রভৃতি কারণে দলের প্রভাবশালী নেতারাই ‘কোন্দল’ তৈরি করে রেখেছেন। কোথাও কোথাও দ্বিমুখী লড়াই, কোথাও আবার ত্রিমুখী লড়াই চলছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে।
‘গোষ্ঠীবাজ’ এসব নেতার কারণে তৃণমূলে দলের উদ্যমী, সৎ, ত্যাগী এবং যোগ্য নেতারা ক্ষুব্ধ। নেতাদের মধ্যে রেষারেষির কারণে কোথাও দলের একাধিক কার্যালয়, কোথাও আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করতেও দেখা যায়।
সর্বশেষ জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করেও দলের বিভিন্ন কমিটিতে তুমুল বিভেদ সৃষ্টি হয়। কোথাও কোন্দলের জন্য এক দশক ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এমনকি কোন্দলের কারণে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন, ঢাকা বার নির্বাচন এবং সদ্য অনুষ্ঠিত সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। দলের নেতারা বলছেন, দলীয় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণেই এসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় হাতছাড়া হয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও সরকারি দল হেরেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আবার সরকার গঠনের লক্ষ্যে কোন্দল মিটিয়ে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছেন বারবার। দলীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার সচিবালয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক কিছু নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ জানতে চান মন্ত্রীদের কাছে।
এ সময় তিনি মন্ত্রী-এমপিদের নিজ নিজ এলাকায় দলের কোন্দল ও বিরোধ মেটানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায়ও শেখ হাসিনা অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করেন। যদিও এসব নিদের্শনা এক রকম উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, কোন্দল নিরসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কঠোর অবস্থান নেয়া শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা ও সংসদ সদস্যকে ঢাকায় ডেকে সাবধান করে দিয়েছেন। কোন্দল এড়িয়ে চলতে না পারলে অনেক সংসদ সদস্যকে আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন দেয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের গত দু’মাসে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য শেখ মোহাম্মদ নুরুল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের গোলাম রাব্বানী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের আবদুল ওদুদ, নড়াইল-১ আসনের কবিরুল হক মুক্তিসহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্যকে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডেকে এনে সতর্ক করেন। কিন্তু এতসব উদ্যোগ সত্বেও বিরোধের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে আওয়ামী লীগে। যার রেশ ধরে ঝরছে রক্ত, ঝরছে জীবন।
সর্বশেষ, গত মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দু’জনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বালু ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রহিমপুর (নয়াকান্দি) গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। নিহতরা হলেন : ফারুক ও সাইদুল ইসলাম। দু’জনেই আওয়ামী লীগের কর্মী। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ আরও অন্তত ১০ জন আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছেন।
শুধু কুমিল্লা নয়, প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও আওয়ামী লীগের এক পক্ষের হাতে আরেক পক্ষের নেতাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। মূল দল আওয়ামী লীগই নয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, এমনকি ওলামা লীগের মতো অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও অন্তর্দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত। প্রতিদিনই তারা এ নিয়ে কোনো না কোনো ঘটনায় সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামেও গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রলীগের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের ছবি ও সংবাদ মিডিয়ায় শিরোনাম হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একটি বিভাগের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা বিরোধের জের ধরে সহিংসতার পাশাপাশি একাধিক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি দলের কোন্দলে খুন হন নড়াইলের অদ্রবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষ রায়।
এর পরদিন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল। ওই দিনই কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে মারা যান আরেকজন।
এ ছাড়া শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আতাউর রহমান মডেল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হাসান খান প্রতিপক্ষের হাতে জখম হন। গত ১৭ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post