অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মানবাধিকারের ওপর যে কোনো বিধিনিষেধের বিরোধিতা করি। যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক সমাজে অবাধে নিজেদের ভূমিকা পালনে সবার অধিকারকে সমর্থন করে। ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।’
ইতোমধ্যে কম্বোডিয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি ১২৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১২০টি আসনে জিতেছে। বেসরকারি ফল অনুসারে, কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন ‘ফ্রি ও ফেয়ার’ কোনোটাই হয়নি।
মিলার আরও বলেন, কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ দেশটির রাজনৈতিক বিরোধী দল, মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানিতে নিয়োজিত। এটি দেশটির সংবিধান এবং কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, জনগণকে সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখার জন্য সহিংসতার ব্যবহার এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার থেকে বিরত রাখার জন্য পরিকল্পিত ব্যবস্থার ব্যবহার।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তারা বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে অবস্থান নেয় না।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত।
Discussion about this post