অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা প্রায় সময় বলে থাকেন যে, বিএনপি জোট তথা বিরোধীদল আন্দোলন করতে না পেরে ক্ষমতায় আসতে বিদেশিদের কাছে ধরণা দেয়। বিএনপির আন্দোলন এখন বিদেশ নির্ভর। বিদেশিরা বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় আনতে পারবে না।
এছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে কথা বলায় বিদেশিদেরও একহাত নিতে ভুলেননি সরকার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিদেশিদের নাক না গলানোর জন্যও কূটনীতিকদেরকে একাধিকবার সতর্ক করেছে সরকার।
এমনকি গত দুই বছর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকেরা ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ (আচরণবিধি) মেনে চলতে না পারলে তারা নিজ দেশে চলে যাক। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে কিছু বিদেশি কূটনীতিক ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসভবনে একটি বৈঠক করেছেন বলে খবর প্রকাশিত হলে তিনি কূটনীতিকদের এই পরামর্শ দেন। গত বছরেও তিনি বলেন, বিদেশি লোকগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে, এটা একটা তাজ্জবের জায়গা। আর আপনারা মিডিয়াও এসবের কাভারেজ দেন (‘আমাদের দেশ একটা তাজ্জবের দেশ। ওই সব লোক এখানে এসে মাতব্বরি করবে কেন। আমাদের তো তাদের পাবলিসিটি দেওয়া বন্ধ করা উচিত।
কিন্তু সেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনই এবার ধরণা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। আগামী নির্বাচনে যাতে বিএনপি অংশ নেয় সেইজন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন মোমেন। বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের জন্য বিদেশিদের উৎসাহিত করলেন না? তাহলে সরকার কি তার নীতি পরিবর্তন করেছে?
রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন- র্যাবকে নিষেধাজ্ঞার পর ক্ষমতাসীন সরকার কোন ঠাসা হয়ে পড়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বার বার সুফি সাজার চষ্টো করছেন। অনেকেই বলছেন বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আনতে সরকারের এ ধরনের তঃপরতা। কিন্তু সেটাও সঠিক তথ্য নয়। শেখ হাসিনা অনেকটাই বুঝতে পারছে আগামী নির্বাচনে রাতের ভোট সম্ভব হবেনা। তাই তার ক্ষমতা ধরে রাখতে সে এখন মারিয়া হয়ে উঠেছে। এজন্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরণা দিচ্ছেন সরকার। দ
Discussion about this post