অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ে সারাদেশে প্রতিদিন তোলকালাম কাণ্ড ঘটছে। আগে একটা বা দুইটা পণ্যের দাম বাড়তো। আর এখন একসাথে নিত্যপ্রায়োজনীয় সব পণ্যের দাম এক লাফে বেড়ে গেছে। এছাড়া পণ্যের দাম বাড়ার মাত্রাও অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে এখন বাজারে গিয়ে কিছু কেনা সম্ভব হয় না। এ যেন দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস।
কিছু দিন যাবত দেখা যাচ্ছে, টিসিবির গাড়ি থেকে কম দামে পণ্য কেনার জন্য নিম্ন আয়ের মানুষের চেয়ে বেশি আয়ের মানুষের ভিড় বেশি। সবার বক্তব্য একটাই-দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে কিন্তু আমাদের আয় বাড়েনি। বাজার কিংবা দোকান থেকে পণ্য কিনে সংসার চালানো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এরপর, টিসিবির পণ্য কিনতে গিয়ে যে মানুষ কি পরিমাণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তারপর, সরকারের দায়িত্ব হল বাজার তদারকি করা। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয় একেবারে নির্বিকার। মন্ত্রীতো কিছুদিন বলেছেন-দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকারের কিছুই করার নাই।
সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হল-দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধগতির কারণে মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে আজ দেশের মানুষ জিম্মি। কিন্তু এই অবস্থায় সরকারের মন্ত্রীরা দ্রব্যমূল্য নিয়ে চরম রসিকতা করে যাচ্ছেন। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ অন্যান্যরা প্রতিদিন একটি ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছেন যে, আগের চেয়ে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী দ্রব্যমূল্য বাড়েনি। মানে তিনি বুঝাতে চাচ্ছেন-দ্রব্যমূল্য আরও বাড়তে পারে। বুধবার আবার বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে বিএনপির ব্যবসায়ীরা জড়িত। এখন প্রশ্ন হল-বিএনপির ব্যবসায়ীর দ্রব্যমূল্য বাড়ায় আর সরকার বসে বসে কি করে?
এছাড়া অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রতিদিন বয়ান করছেন যে, মানুষের মাথা পিছু আয় বেড়েছে। দেশ একেবারে উন্নত হয়ে গেছে। দেশে কোনো অভাবী বা দরিদ্র লোক নাই। দেশের মানুষের কোনো কষ্ট নাই। এই ভাবে তারা প্রতিদিন মানুষের সাথে তামাশা করে যাচ্ছে।
রাস্তায় বের হলে সাধারণ মানুষকে বলতে শুনা যায়-কোনো সুস্থ মানুষ বিপদগ্রস্ত মানুষের সাথে রসিকতা করতে পারে না। সরকারের সব মন্ত্রীই এখন পাগল হয়ে গেছে। পাগল ছাড়া এসব কথা কেউ প্রতিদিন বলতে পারে না। দেশে এখন পাগলের শাসন চলছে।
Discussion about this post