অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৎপর বর্তমান ক্ষমতাসীন দল। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বিরোধীমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে গ্রেফতার আবারও শুরু করেছে। এছাড়া রিবোধী দলকে বিভিন্নভাবে কোনঠাসা করতে সরকার দলীয় নেতারা বিভিন্ন বক্তেব্যের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় গণমাধ্যম গুলো যখন নিজের নিয়ন্ত্রনে আনলেও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে যখন সত্য ঘটনা উঠে আসছে তখন অনলােইন গণমাধ্যম গুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে কথিত নিবন্ধন করার জন্য বলা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ ততই হিংস্র দানবের রূপ ধারণ করছে। আওয়ামীলীগ নিশ্চিত ভোট ডাকাতি ছাড়া যে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে পারবে না তাই আসন্ন ভোট ডাকাতি চাপা দেয়ার জন্য তারা এবার নজর দিয়েছে দেশের অনলাইন নিউজপোর্টাল গুলোর দিকে। দেশে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর মধ্যে অধিকাংশই সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতি-গুম-খনের সমালোচনা করে। এসব নিউজপোর্টাল ভিন্নমতের হওয়ায় সরকার এগুলোকে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এসব নিউজ পোর্টাল আর সরকারের বিরুদ্ধে কিছু লিখতে না পারে।
লক্ষণীয় বিষয় হল-এসব গণমাধ্যম বন্ধের দায় এড়াতে শেখ হাসিনা আবারো বন্দুক তাক করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ঘারে। যেভাবে তারা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছিল। শেখ হাসিনা জানেন-সরকারের পক্ষ থেকে এই তিন হাজার অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিলে এনিয়ে সমালোচনা হবে। তাই নিজেরা আদেশ না দিয়ে আদেশটি এনেছে আদালত থেকে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে সর্বমোট সাড়ে তিন হাজার অনলাইন নিউজপোর্টাল আছে। সবাই নিবন্ধনের জন্য তথ্যমন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯৫টি পোর্টাল নিবন্ধন পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে-যেসব নিউজপোর্টাল নিবন্ধন পেয়েছে সবগুলোই সরকার তথা আওয়ামী লীগের পক্ষের। ভিন্নমতের কোনো পোর্টাল এখন পর্যন্ত নিবন্ধন পায়নি।
দেখা গেছে, নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই সরকার আদালতের দেয়া আদেশ বাস্তবায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং অযৌক্তিক।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অনিবন্ধিত নিউজপোর্টাল বন্ধে আদালতের আদেশটি সরকারের ইশারাতেই দেয়া হয়েছে। আর সরকার এই কাজটি করেছে মূলত আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে। আসলে নিবন্ধন একটা অজুহাত মাত্র। সরকারের টার্গেট হল সারাদেশের ভিন্নমতের নিউজপোর্টালগুলো বন্ধ করা।
আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, সমালোচনা ঠেকাতে সরকার আরো কিছু পোর্টালকে নিবন্ধিত করবে। তবে সেগুলোও হবে পক্ষের নিউজপোর্টাল।
উল্লেখ্য, এর আগে সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা ও দুর্নীতি অনিয়ম তুলে ধরার জন্য ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে অ্যানালাইসিস বিডিসহ ৫৮টি বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যম দেশ থেকে বন্ধ করে। সর্বশেষ করোনায় তথ্য গোপন করার বিষয়টি অনুসন্ধানে উঠে আসলে অ্যানালাইসিস বিডি-এর ডমেনটি বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করা হয়। বর্তমান অ্যানালাইসিস বিডি বাংলাদেশ থেকে ব্লক রয়েছে।
Discussion about this post