অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আবারো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে ৩০ জন মারা গেছে। এসময়ে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৮০০ জন। প্রতিদিন করোনার এ বৃদ্ধি পাওয়াকে বড় ধরণের বিপদের পূর্ভাবাস হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষও। মাথায় আবার চিন্তার বাজ পড়ে গেছে খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষের।
প্রাণঘাতী এই করোনা আবারো মহামারী আকার ধারণ করলেও এটা প্রতিরোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে শুধু বলা হচ্ছে-করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের সব প্রস্তুতি আছে। সরকারের সব দপ্তরই প্রস্তুুত আছে।
এখন প্রশ্ন হলো-সরকারের দপ্তরগুলো প্রস্তুতি নিয়ে ঘরে বসে থাকলে জনগণের লাভ কি? করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মানুষ মরছে-তারা অ্যাকশনে যাচ্ছে না কেন? দেশের কোথাও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সামাজিক দূরত্বও বজায় চলছে না। রাজপথে মিছিল-মিটিংসহ গণজমায়েত হচ্ছে। এসব কারণে করোনা আবার ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। অথচ সরকার এনিয়ে একেবারে নির্বিকার। কেন? এমন হচ্ছে কেন? এদেশের মানুষের প্রতি কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো দায়িত্ব নাই?
বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনা ব্যস্ত এখন তার বাবার জন্মশত বার্ষিকী নিয়ে। এদেশের মানুষের জীবনের চেয়ে তার বাবার জন্মবার্ষিকীটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে শেখ হাসিনা জনগণের কথা বাদ দিয়ে শুধু তার বাবাকে স্মরণ করছেন। প্রতিদিন বিদেশিদের নিয়ে ফূর্তি করছেন।
তারা বলছেন, এসব করার কারণ হলো-তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন নি। ক্ষমতায় আসতে যেহেতু এখন আর জনগণের দরকার হয় না, সেই জনগণ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরলেই তার কি আসে যায়।
Discussion about this post