অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
কোনোভাবেই থামছে না শেখ হাসিনার সোনার ছেলে নামে খ্যাত ছাত্রলীগের ধর্ষণ-গণধর্ষণ কর্মকাণ্ড। গৃহবধূ থেকে শুরু করে গৃহকর্মী পর্যন্ত রেহায় পাচ্ছে না ছাত্রলীগের এই মানুষরূপী পশুগুলোর হাত থেকে। গত সপ্তাহে সিলেটের এমসি কলেজ হোস্টেলে স্বামীকে অস্ত্রেরমুখে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে বর্বরোচিত কায়দায় গণধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের একদল নরপশু। তাদের এই বর্বর কাণ্ডে পুরো দেশ স্তব্ধ হয়ে গেছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষোভ ও ধিক্কার জানাচ্ছে।
ছাত্রলীগের ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করছেন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনসহ সাধারণ মানুষ। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো-সিলেটের সেই বর্বরোচিত ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক কাণ্ড ঘটাল ছাত্রলীগ। আর এটাও হল খোদ রাজধানীতে।
জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সবুজ আল সাহবা গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে এক গৃহকর্মীকে ফাতেমা নামের আরেক নারীর মাধ্যমে বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ঘটনা প্রকাশ না করতে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহকর্মীকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে আপস করারও চেষ্টা করে ওই ছাত্রলীগ নেতা। কিন্তু গৃহকর্মী ওই ঘটনা তার স্বজনদেরকে জানালে তারা মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা সবুজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ছাত্রলীগ নেতা সবুজের এই ঘটনা বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পরই মানুষের মধ্যে আবার নতুন করে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগের এই ধারাবাহিক ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষাও এখন মানুষ খোঁজে পাচ্ছে না।
তবে, সবুজের ধর্ষণের ঘটনায় নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি লেখক ভট্টাচার্য।
সিলেটের ঘটনার পর ছাত্রলীগ সেক্রেটারি এক সমাবেশে বলেছিলেন-নারীদের প্রতি খারাপ চোখে তাকানোর মতো একজন কর্মীও ছাত্রলীগে নেই।
তার এই বক্তব্য নিয়ে ওই সময় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন-ছাত্রলীগ খারাপ চোখে নারীর দিকে তাকায় না, শুধু ধর্ষণ করে। কেউ কেউ বলছেন-ছাত্রলীগ নেতারা খারাপ নজরে কিছু করেনি। তারা এখন নেক নজরেই ধর্ষণ করছে।