অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
শেখ হাসিনা প্রতিদিন যেসব উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ঘোষণা করছেন, এগুলো মূল উদ্দেশ্য দেশের উন্নয়ন নয়। তাদের মূল টার্গেট হচ্ছে প্রকল্পের নামে নিজেদের আখের গোছানো। রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাত করা। অ্যানালাইসিস বিডি শুরু থেকে এসব বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলে আসছে।
বিষয়গুলো এখন প্রতিদিনই জনসম্মুখে প্রকাশ হচ্ছে। সংবাদপত্র খুললেই চোখের সামনে ভেসে উঠে লাল কালির শিরোনাম-প্রকল্পের নামে হরিলুট, উন্নয়নের নামে লুটপাট, অভিজ্ঞা অর্জনের নাম করে সরকারি টাকায় শত শত কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের হিড়িক।
সর্বশেষ তিনটি প্রকল্প থেকেই দেশের সার্বিক চিত্র ফুটে উঠে। প্রাইমরারি স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে খিচুড়ি খাওয়ানোর জন্য রান্না শিখতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ১ হাজার কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব করেছে। তাদের জন্য বরাদ্দ ৫ কোটি টাকা।
তারপর, বিল্ডিং দেখার জন্য গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ৩০ কর্মকর্তাকে বিদেশ সফরে পাঠাবে। এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০ কোটি টাকা।
এরপর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর গরিব মানুষের জন্য হাত ধোয়া কর্মসূচি চালু করেছে। এখানে বরাদ্দ ৪০ কোটি টাকা।
এই তিন প্রকল্পের বিদেশ যাত্রার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে চায়ের স্টল পর্যন্ত চলছে সমালোচনা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার পুরো দেশকে লুটপাটের একটা লঙ্গরখানা পরিণত করেছে। যে যেভাবে পারছে, সেভাবেই কথিত প্রকল্প দেখিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ লুটপাট করছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি সরকারি অফিসের পিয়ন পর্যন্ত সরকারি অর্থ লুটপাট করছে। সবাই চুরিতে লিপ্ত। তাই কারো কাছে কাউকে জবাবদিহী করতে হচ্ছে না।