অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খামখেয়ালি থামছে না। প্রাণঘাতী এই করোনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথম থেকেই বিভিন্ন কূটকৌশল অবলম্বন করে আসছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম দেখানোর জন্য তারা প্রথম থেকেই টেস্ট কমিয়ে দিয়েছিল। শত শত মানুষ করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসার অভাবে রাস্তায়, হাসপাতালের বারান্দায় ও অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর মারা গেছে।
তারপর আক্রান্তের সংখ্যা কমানোর জন্য এখন চিকিৎসা বাদ দিয়ে টেস্ট কমিয়ে নিয়ে আসছে। করোনা হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিয়ে বলা হচ্ছে করোনা দেশ থেকে চলে গেছে। এখন আর কেউ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না।
সর্বশেষ তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য ভান্ডার থেকে ৮৪ হাজার করোনা রোগীর তথ্য মুছে ফেলেছে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাটাবেজ থেকে ৮৪ হাজার করোনা রোগীর তথ্য গায়েব হয়ে গেছে। এনিয়ে এখন পুরো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তোলপাড় চলছে।
অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের ইনচার্জ সামসুজ্জমান গণমাধ্যমের কাছে ৮৪ হাজার করোনা রোগীর ডাটা গায়েবের বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। কিভাবে এগুলো গাযেব হয়ে গেলে সেটাও জানেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা রোগীদের ডাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলাদেশের করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে ডাটাবেজ দেখেই নিতে হবে। ৮৪ হাজার করোনা রোগীর তথ্য মুছে যাওয়ার মাধ্যমেই প্রমাণ হয় যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে কত বড় দায়িত্বহীন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবহেলা, উদাসীনতা, অনিয়ম আর দুর্নীতির কারনেই দেশে আজ করোনা পরিস্থিতির এই অবস্থা। তারা দেশের মানুষকে কখনো করোনার সঠিক তথ্য জানায় নি। তারা সরকারকে খুশী রাখার জন্য প্রাণঘাতী করোনাকে ধামাচাপা দিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত এখন দেশের মানুষকে জীবন দিয়ে দিতে হচ্ছে।