অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কথিত দুর্নীতির মামলায় কারাগারে নেয়ার পর থেকেই বিএনপিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিতে একটি মাস্টার প্ল্যান করেছিল আওয়ামী লীগ। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার বেছে নিয়েছিল ড.কামাল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদকে। এনিয়ে অ্যানালাইসিস বিডির একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রত্যেকটা প্রতিবেদনেই সরকার কখন কাকে দিয়ে কি করছে এসবের সবিস্তারে বর্ণনা দেয়া আছে।
এক্ষেত্রে সরকারের দুইটি পরিকল্পনা ছিল। প্রথম পরিকল্পনা ছিল বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসা। এজন্য ড. কামাল ও জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দিয়ে গঠন করিয়েছিল কথিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাদের পাল্লায় পড়েছিল বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ড. এমাজউদ্দিন আহমদ। এই তিনজনে মিলেই মূলত বিএনপিকে আন্দোলন বাদ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে কুপরামর্শ দিয়েছিল।
দেখা গেছে, ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিল ৭ দফা দাবি না মানলে তারা নির্বাচনে যাবে না। দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামবে। কিন্তু, সরকারের পক্ষ থেকে দুই দফা সংলাপে দাবি না মানা সত্ত্বেও ড. কামাল নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর এতে সম্মতি দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এরপর, ব্যাপক ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর সিদ্ধান্ত হলো তারা সংসদে যোগ দেবেন না। কিন্তু লোকোচুরি করে শপথ নেন ড. কামালের দলের দুই এমপি। পরে জানা গেল ড. কামালের সম্মতিতেই তারা শপথ নিয়েছেন।
এরপর, গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলো খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তারা আন্দোলনে যাবে। সরকারকে বৈধতা দেয়ার জন্য তারা সংসদে যাবেন না। কিন্তু দেখা গেল, ড. কামাল আর জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্ররোচনায় পড়ে বিএনপির নির্বাচিত এমপিরাও সোমবার শপথ নিলেন। হয়তো মঙ্গলবার মির্জা ফখরুলও শপথ নিবেন। তাদের এই শপথের মধ্যদিয়ে সরকারের পুরো চক্রান্তই সফল হলো। কামালের ষড়যন্ত্র থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারলো না বিএনপি।
রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ মনে করছেন- এই শপথের মধ্যদিয়ে বিএনপি নামক একটি বৃহত্তর দলের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটলো। এই দলটি আর নিজস্ব শক্তি নিয়ে কখনো মাঠে দাঁড়াতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।