অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর চলছে মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা-নির্যাতন। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হামলা-ভাঙচুর, গুলি ও মারধরের মাত্রাও তত বাড়ছে। আর এসব অপকর্মে তাদেরকে সার্বক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
জানা গেছে, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর সোমবার অন্যদিনের চেয়ে হামলা-ভাঙচুর, সংঘর্ষ, গুলি ও মারধরের ঘটনা আরও বেশি ঘটেছে। সোমবার ক্ষমতাসীনদের হামলায় বিএনপির কয়েজন প্রার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। শরীয়তপুরের বিএনপি প্রার্থী নুরুদ্দিন আহমেদ অপুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে বিএনপি প্রার্থী শহীদ চৌধুরী এ্যানির হাত ভেঙ্গে দিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। গাজীপুরে বিএনপি প্রার্থী ফজলুল হক মিলনের স্ত্রীর ওপর হামলা করেছে। শেরপুর, বগুড়া ও নাটোরে বিএনপির প্রার্থীর ওপর হামলাসহ কমপক্ষে ২২টি জেলায় আজ বিএনপির প্রাচরণায় হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করে এসবের কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না বিএনপি। বরং প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আরও উল্টো দাবি করছেন যে, নির্বাচনী পরিবেশ সম্পূর্ণ সুষ্ঠু আছে। সহজভাবে বলা যায়-সারাদেশে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপিকে পাত্তাই দিচ্ছে না নুরুল হুদা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগকে ফের ক্ষমতায় আনা হচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কারণ, ৯৬ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারকে উৎখাতে সচিবালয়ের সামনে যে জনতার মঞ্চ তৈরি হয়েছিল সেটার নেতৃত্বে বর্তমান সিইসি নুরুল হুদাও ছিলেন। ওই ঘটনার কারণে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নুরুল হুদাকে ওএসডি করে। পরবর্তীতে তাকে চাকরি থেকে সাসপেন্ডও করা হয়। এরপর থেকেই নুরুল হুদা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি শেখ হাসিনার কাছে একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি হওয়ায় তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ মনে করছেন, নুরুল হুদা এখন সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন। তিনি এখন বিএনপির ওপর ওই সময়কার ঘটনার প্রতিশোধ নিচ্ছেন। তিনি অনেক দিন ধরেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। এখন তিনি সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন।