প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে অশুভ শক্তি ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সাধারণ মানুষের ওপর আগুন–সন্ত্রাস চালিয়েছিল, তারা আবার ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন প্রাক্কালে দেশে সে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, লন্ডনভিত্তিক এক অপরাধীর বুদ্ধি-পরামর্শে এ অশুভ শক্তি দুটি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। একটি হলো পুলিশের একটা অংশকে কিনে নেওয়া এবং অপরটি হলো কিছুসংখ্যক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে পুলিশ বাহিনীর মনোবল দুর্বল করা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একদল সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গণভবনে যান। সেখানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে আগুন–সন্ত্রাসীরা সফল হবে না। কেননা পুলিশ বাহিনী অধিকতর দক্ষতা ও দৃঢ়তা নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যকর সেবা ছাড়া আমরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমন করতে সক্ষম হতাম না।’
পুলিশের মহাপরিচালক (আইজিপি) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ মোট ৮৮ জন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় এবং চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে সম্মত হন তাঁরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা ফুলের তোড়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সাবেক আইজিপি এ টি এম আহমেদুল হক চৌধুরী ও এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুর রহিম খান, বজলুল করিম, আব্দুল হান্নান ও মো. মতিউর রহমান বক্তৃতা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁদের সক্ষমতার ব্যাপারে পুলিশ বাহিনীর ওপর মানুষের অগাধ আস্থা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকার ও দলের প্রতি সমর্থন দেওয়ার জন্য সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি চাকরিরত কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমের সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যেতে উৎসাহিত করবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের বৈষম্য থেকে মুক্ত করতে আমাদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন এ দেশের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কষ্ট করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সরকার প্রতিশোধ নেওয়ার পরিবর্তে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করে।
সূত্র: প্রথম আলো