অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ক্ষমতার শেষ প্রান্তে এসে দিন যতই যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক ততই বাড়ছে। এক দিকে ড. কামালের নেতৃত্বে গঠিত হচ্ছে সরকার বিরোধী জাতীয় ঐক্য আর অপর দিকে নির্বাচনের আগে বড় ধরণের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। আগামীতে আবারো ক্ষমতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ যে হিসাব নিকাশ করে রেখেছে সবই এখন ভেস্তে যেতে বসেছে। ক্ষমতা হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ারই বেশি আশঙ্কা দেখছে আওয়ামী লীগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতারা এখন দুই আতঙ্কে ভুগছেন।
প্রথমতঃ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ড. কামালের নেতৃত্বে যে জোট হচ্ছে সেটা নিয়ে সরকারে প্রতিদিনই অস্বস্তি বাড়ছে। সরকার মনে করছে, ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জোটের মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়। বিদেশিদের ইশারায় তারা এক মঞ্চে আসছে। তাদের টার্গেট ভিন্ন কায়দায় সরকারকে হটিয়ে দেশে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা। যার নেতৃত্বে থাকবে ড. কামাল হোসেন। বিশেষ করে মার্কিন দূতাবাস তাদের পেছনে কাজ করছে বলেও সরকারের নীতিনির্ধারকদের ধারণা। এ জোটের অন্তর্ভূক্ত দলগুলোর ভোট না থাকলেও তাদের পেছনে কয়েকটি বড় শক্তি কাজ করছে বলে সরকারের আশঙ্কা।
এছাড়া শনিবার একটি সভায় ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আগামী নির্বাচন নাও হতে পারে। তার এ বক্তব্য সরকারের উদ্বেগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
দ্বিতীয়তঃ বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিংবা দলটিকে কোনঠাসা করে নির্বাচনে এনে বিরোধী দলের আসনে বসানোর এত দিন সরকারের যে পরিকল্পনা ছিল তাও ভেস্তে যাচ্ছে। গোয়েন্দা রিপোর্টের মাধ্যমে সরকার জানতে পেরেছে যে, তফসিল ঘোষণার আগে কিংবা পরে বিএনপি জোট বড় ধরণের আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিরোধী দল যদি মাঠে নেমে যায় তাহলে আগের মতো আর পুলিশ দিয়ে তাদেরকে দমিয়ে রাখাও কঠিন হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বায়বীয় উন্নয়নের কথা বললেও গোয়েন্দা রিপোর্টে সরকার জানতে পেরেছে যে, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সরকারের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। যেকোনো ইস্যুতে তারা মাঠে নামতে পারে। আর বিএনপি যদি আন্দোলনে নামে সাধারণ জনগণও সেই আন্দোলনে যোগ দিতে পারে। এসব কারণে সরকারে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।