রাজধানীর জিগাতলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেলা ১টার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রথম দফা হামলা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। তারা মাথায় হেলমেট পড়ে লাঠি হাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার খবর পেয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে আরও শিক্ষার্থী ওই এলাকায় গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলা ও সংঘর্ষ অন্তত বিশজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
এদিকে জিগাতলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের হামলা ও গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।
হামলা চলাকালে মানবজমিন এর ফটো সংবাদিক শাহীন কাওসার ও রিপোর্টার সুদীপ অধিকারীও লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাদের ক্যামেরা কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। চ্যানেল নাইনের ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
হামলার পর প্রায় হাজারখানের ছাত্র ওই এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এ ঘটনার পর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের মধ্যেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলা-সংঘর্ষের সময় ওই এলাকায় পুলিশ অবস্থান করলেও তারা ছিল নিরব ভুমিকায়। বিজিবি সদরদপ্তরের প্রধান ফটকের সামনে ঘটনা ঘটায় সেখানে থাকা বিজিবি সদস্যরা দুই পক্ষের মাঝে থেকে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন। বিকাল ৪টার দিকে কয়েক শত বিজিবি সদস্যকে রাস্তায় নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। কিছুসময় তারা অবস্থান করে ফিরে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় গুলির শব্দও শোনা গেছে। কে বা কারা গুলি করেছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছাত্রলীগের একদল কর্মীকে মটরসাইকেল সহযোগে জিগাতলা এলাকায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া অব্যহত আছে।
https://www.youtube.com/watch?time_continue=69&v=Voc8JF1v1H8
তথ্যসূত্র: মানবজমিন