অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
খুলনা এবং গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিরোধীদলের প্রার্থীদের এজেন্টদের গুম-অপহরণ, কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদান, ব্যালট ছিনতাই ও ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এমন সহিংসতাপূর্ণ নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না বলেও জানিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট।
দুই সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে একেবারে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছেন।
জয় এ নিয়ে প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন। জয় তার প্রতিক্রিয়ায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসকে বিএনপির মুখপাত্র বলেও উল্লেখ করেছেন।
জয়ের এ মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিটি নির্বাচন নিয়ে করা মন্তব্য রাষ্ট্রদূতের নয়। এটা যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য।
এবার আর নির্বাচন নয়। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীনদের পেটোয়া ও হাতুড়ি বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অধিকার আদায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকারও ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে- ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কান্ডারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নৃশংস হামলা দেশ গঠনের মৌলিক নীতির বিরোধী। যারা বাক-স্বাধীনতা, সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদসহ মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা করে মার্কিন সরকার তাদের পাশে আছে।’
ওই পোস্টে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা হয়, ‘পিসফুল প্রোটেস্ট বিডি’ অর্থাৎ এতে বাংলাদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে সমর্থন দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই বিবৃতির পর এখন অনেকেই জয়কে ইঙ্গিত করে বিভিন্ন ধরণের কথাবার্তা বলছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভকে সমর্থন দেয়ায় জয় এখন যুক্তরাষ্ট্রকে কী বলবেন?
আবার কেউ রসিকতা করে বলছেন, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এখন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র।