অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব কিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও এক অজানা আতঙ্কে দিন কাটছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মসনদের চারপাশে সীসাঢালা প্রাচীর তৈরি করেছেন। আর প্রাচীরের চারপাশে মোতায়েন করে রেখেছে র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন, এসএসএফ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের। কোনো শক্তি যাতে তার মসনদের কাছে আসতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এত কিছুর পরও অজানা ভয়-আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে শেখ হাসিনার। প্রতিদিনই ঘুম থেকে উঠে তিনি দূরবিন দিয়ে একবার দেখে নেন মসনদের চারপাশে তৈরি করা প্রাচীরের কোথাও কোনো ছিদ্র হয়েছে কি না। প্রাচীরে ছিদ্র দেখা দিলেই তিনি ক্ষমতা সুরক্ষার জন্য তৈরি করেন নতুন আইন। বিশেষ করে সুশীল সমাজ ও দুইটি পত্রিকার সম্পাদককে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই চিন্তায় থাকেন।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরী, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন সবাইকে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা কিছু একটা করতে পারে বলেও আশঙ্কা শেখ হাসিনার।
এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি বক্তব্য ক্ষমতাসীনদের মধ্যে বিরাজমান আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার মির্জা ফখরুল একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটা হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ আর তিনদিনও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
জানা গেছে, মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্য নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে। এনিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। এমনকি ফখরুলের বক্তব্যে বিচলিত হয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম শুক্রবার জাতীয় ঐক্যের সমালোচনা করে বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের নামে বর্ণচোরা ও চক্রান্তকারীরা এক হচ্ছে।