অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক:
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে আবারো কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করে নিয়ে গেছে ভারতীয় হ্যাকাররা। এমন একটা চাঞ্চল্যকর নিউজ মঙ্গলবার ভারতীয় গণমাধ্যম নর্থইস্ট নিউজ প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যমটি বলছে, কমপক্ষে তিনজন কর্মকর্তা রিজার্ভ চুরির বিষয়টি তাদেরকে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ভারত ও বাংলাদেশ সরকার রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি জানে। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থাও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে কিছু দিন আগে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না সেটাও নিউজে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে রিজার্ভ চুরির এই নিউজ প্রকাশের পরই বাংলাদেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। দেশের গণমাধ্যমগুলোও এ নিয়ে নিউজ করছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে তুলকালাম চলছে। সবাই জানতে চাচ্ছেন, আসলে কী ঘটেছে? তবে সম্প্রতি রিজার্ভ কমে তলানীতে আসার কারণে এখন অনেকেই মনে করছেন রিজার্ভ চুরির নিউজ সঠিক। নতুবা রিজার্ভ এত দ্রুত কমে যাচ্ছে কেন?
এছাড়া, সাংবাদিকদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে দুই মাস ধরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আর ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী রিজার্ভ চুরির ঘটনাও ঘটেছে দুই মাসের মতো হয়েছে। এটা থেকেও মানুষ ধারণা করছে যে রিজার্ভ চুরির নিউজ সঠিক। সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রাখছে যাতে রিজার্ভ চুরির ঘটনা মানুষ জানতে না পারে।
তারপর, ভারতীয় গণমাধ্যমে রিজার্ভ চুরির এই ঘটনা প্রকাশের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন না। সাংবাদিকরা ফোন দিলেও কর্মকর্তারা ফোন ধরছেন না। এটা থেকে সাংবাদিকরাও মনে করছেন কিছু একটা ঘটেছে। তা না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের ফোন ধরছেন না কেন। হয়তো বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি গোপন রাখতে চাচ্ছে।
জানা গেছে, রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাংবাদিকদেরকে একটা মেসেজ দিয়েছে। সেখানে তারা দাবি করেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের নিউজ ভুয়া। জানা গেছে, ব্যাংক বিটের সাংবাদিকরাও এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব কথা বিশ্বাস করতে পারছে না।
আর বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের আচরণের কারণেই মানুষের মনে সন্দেহ সংশয় আরও বাড়ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের নিউজ যদি মিথ্যা হয় তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রমাণসহ বক্তব্য দেয়া দরকার। অন্যথায় সাধারণ মানুষ মনে করছে রিজার্ভ চুরির নিউজ সঠিক। এছাড়া, রিজার্ভ এত দ্রুত কমলো কেন সেটার ব্যাখ্যাও সরকারের পক্ষ থেকে দিতে হবে।
Discussion about this post