বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫
Analysis BD
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home slide

গুম খুনের নির্দেশ আসে খোদ হাসিনা থেকেই

এপ্রিল ৪, ২০২৩
in slide, বিশেষ অ্যানালাইসিস
Share on FacebookShare on Twitter

গতকাল জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচেভেলে ও নেত্রনিউজের যৌথ অনুসন্ধানে র‍্যাবের বিষয়ে ‘ডেথ স্কোয়াড’ নামে তথ্যচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। এখানে কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক হত্যা ও র‍্যাবের অন্যান্য বিষয় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি দেখুন। 

সেনা এবং পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত র‍্যাবকে নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে ডয়চে ভেলের ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিট এবং সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজ যৌথ অনুসন্ধান চালিয়েছে৷ প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর এই প্রথম এই বাহিনীতে কাজ করা দুই সদস্য এই ‘ডেথ স্কোয়াড’ এর ভেতরের তথ্য জানালেন৷

র‍্যাবের একজন অফিসার জানিয়েছেন, ব়্যাব যদি জানতে পারে যে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাহলে তিনি যে বাহিনীতে কাজ করেছেন সেই বাহিনীই তাকে মেরে ফেলতে পারে৷ডয়চে ভেলে তাদের স্বীকারোক্তির সত্যতা যাচাই করেছে এবং বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার কর্মী এবং অন্যান্য সূত্র যেমন পুলিশ এবং পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন, বিভিন্ন মামলার তথ্যভাণ্ডার এবং একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অডিও রেকর্ড যাচাই করার মাধ্যমে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে৷

ডয়চে ভেলেকে সাক্ষাৎকার দেয়া দুই ব্যক্তিই দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা রাজনৈতিক স্বার্থে এই এলিট বাহিনীকে ব্যবহার করেন৷ অভিযোগ রয়েছে, সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ থেকে এসবের অনুমোদনও দেয়া হয়৷লক্ষ্যবস্তু যদি রাজনৈতিক ব্যক্তি হয় তাহলে কেবল উচ্চপর্যায়ের সুস্পষ্ট অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এটি বাস্তবায়ন করা হয়৷ সাক্ষাৎকার দেয়া এক ব্যক্তি বলেন, এসব ক্ষেত্রে ‘‘সিদ্ধান্ত সর্বনিম্ন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসবে৷ বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই আদেশটা প্রদান করে থাকেন৷”
অন্য সাক্ষাৎকারদাতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কোনো নির্দেশ দেন না৷”

ডয়চে ভেলে এবং নেত্র নিউজ এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছে৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং এসব অভিযোগকে ‘‘বিভ্রান্তিকর এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত‘‘ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে৷ ডয়চে ভেলেকে ‘‘দলীয় দৃষ্টিভঙ্গী প্রচার” না করার বিষয়ে সতর্কও করেছে মন্ত্রণালয়৷ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কোনো উত্তর দেয়া হয়নি৷

‘‘ডেথ স্কোয়াড” নিয়ে অনুসন্ধানে যা জানা যায়,

কোনো টার্গেটকে যখন মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তখন বেশ কিছু পদক্ষেপ সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়৷

প্রথমত একটি স্থান নির্ধারণ করা হয়৷ লোকচক্ষুর আড়ালের একটি স্থান বেছে নেয়া হয়, যাতে কোনো সম্ভাব্য সাক্ষী না থাকে৷ ঢাকায় এমন এক জায়গা হচ্ছে শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া দূষিত তুরাগ নদীর তীর৷ আরেকটি হচ্ছে কক্সবাজার এবং টেকনাফের মধ্যকার ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভের কিনারা৷

এরপর, সাধারণত গভীর রাতে, যখন রাস্তা জনমানবশূন্য থাকে এবং দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়, কোনো কিছু বুঝতে না দিয়ে টার্গেটকে আটকে চোখ বেঁধে একটি বেসামরিক গাড়িতে তুলে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়৷

এরপর টার্গেটকে গুলি করে তার রক্তক্ষরণে মৃত্যু হওয়া অবধি অপেক্ষা করা হয়৷ যখন তাদের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়, তাদের চোখের কাপড় খুলে ফেলা হয়৷ কোনো চিহ্ন না রাখার জন্য চোখ বাঁধা হয় নরম কাপড় দিয়ে৷ এরপর তাদের হাতের বাঁধনও খুলে ফেলা হয়। এরপর দৃশ্যপট সাজানো হয়৷ কী গল্প বলা হবে, তার ওপর নির্ভর করে নিহতের শরীরে নানা প্রমাণ সাজিয়ে রাখা হয়৷

যদি গল্পটি দুই গ্যাং এর মধ্যে মারামারির হয়, তাহলে মাদক এবং ইয়াবা মৃতের সঙ্গে রাখা হয়৷ সন্দেহভাজন জিহাদী হলে তার শরীরের পাশে ধর্মীয় কাগজপত্র রেখে দেয়া হয়৷উভয় ক্ষেত্রেই টার্গেটের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে দেয়া হয়৷ তিনি জানান, এইসব অস্ত্র অনানুষ্ঠানিকভাবে ভারত থেকে পাচার করে আনা হয়৷ এরপর ফাঁকা গুলি করে বুলেটের খোসা মাটিতে ফেলে রাখা হয়৷

কিন্তু কিছু বিরল ক্ষেত্রে ব়্যাব একেবারেই নীরবে কাজ করে৷ ভিকটিমদের তুলে নিয়ে কোনো চিহ্ন রাখা হয় না৷ কখনও কখনও কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাস, এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না৷ এইসব ঘটনাকে ‘‘গুম” বলে উল্লেখ করা হয়৷বাংলাদেশজুড়ে এখনও শত শত মানুষ এভাবেই নিখোঁজ রয়েছেন৷

বছরের পর বছর ধরে র‌্যাবের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও৷ র‌্যাব এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা শত শত রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় বেসামরিক ব্যক্তিকে অপহরণ করেছে, যারা আর ফিরে আসেনি, জানান এসব ঘটনার দিকে নজর রাখা অ্যাক্টিভিস্টরা৷

র‍্যাবের ব্যাপারে এমন অনুসন্ধান এর আগে করেছিল সুইডিশ রেডিও ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে। যাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে খুনী বানায় তাদের একটি প্রশিক্ষণের অডিও রেকর্ড পেয়েছে সুইডিশ রেডিও। যার খুব অল্প অংশ তারা প্রচার করেছে। তারা বলেছে যে ব্যক্তি এই রেকর্ড ইংরেজিতে অনুবাদ করেছে সে অস্থির হয়ে গিয়েছিল। বারবার সে প্যানেল থেকে বের হয়ে পানি খাচ্ছিল।

অডিওতে র‌্যাবের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, “তোমরা যদি তাকে(টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে) খুঁজে পাও, শুট এন্ড কিল হিম(গুলি করো এবং হত্যা করো), যেখানেই থাকুক। এরপর তার পাশে একটি অস্ত্র রেখে দাও।”

বিচারবহির্ভুত হত্যার এমন রোমহর্ষক নির্দেশ দেয়ার পর পুলিশের এলিট ফোর্স কিভাবে কাকে হত্যা করবে এসব তালিকা কিভাবে নির্বাচন করে এসব নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। এমনকি এই কর্মকর্তা নিজেই যে অসংখ্য হত্যার সাথে জড়িত তা নিজেই উল্লেখ করে।

র‌্যাব কর্মকর্তা বর্ণনা করেন কীভাবে পুলিশ সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়। এমনকি তারা অবৈধ অস্ত্র কিনে মানুষকে খুন করে সেই অস্ত্র তার পাশেই রেখে দেয়। আসলে সাধারন মানুষ কখনো অবৈধ অস্ত্র রাখে না। কিন্ত পুলিশ যাকে হত্যা করছে তারও পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল এই ধরনের বিষয় প্রমানের জন্য, বলতে গেলে আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি ছোড়ল, এই বক্তব্যের যথার্থতার জন্য নিহতের পাশে অস্ত্র রেখে দেয়া হয়।

দুইঘণ্টাব্যাপী এই গোপন রেকর্ডিং-এ র‌্যাব যে হত্যা এবং জোরপূর্বক গুম করে এই বিষয়টি এই কর্মকর্তা তার বক্তব্যে বার বার উল্লেখ করেন।
গুমের ক্ষেত্রে তিন ধরনের কৌশল ব্যবহার করে থাকেন-
(১) টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে অপহরন
(২) তাকে হত্যা করা
(৩) তার লাশ চিরতরে গুম করে ফেলা।

আলাপকালে তিনি বলেন, কোন লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার আগে তারা লাশের সাথে ভারি ইট বেঁধে দেয়। সেই কর্মকর্তা আরো কথা বলে যা অনেকেটা সিনেমার মত- যেসব অফিসার এই ধরনের অপারেশনে যায়,তারা অনেকে নিখুঁতভাবে এই কাজ করে। এটাও সত্য গুম এরপর হত্যা, এই ধরনের কাজে সব পুলিশ দক্ষ না। তাই এই ধরনের অপারেশনে কোন প্রকার ক্লু বা সামান্য চিহ্নও যাতে না থাকে, এমনকি আমাদের আইডিকার্ড, আমাদের গ্লাভস পরতে হয় যাতে আংগুলের ছাপ পাওয়া না যায়। এমনকি জুতার মধ্যেও আলাদা আবরন লাগানো হয়।

ওই কর্মকর্তার মতে, রাজনীতিতে বিরোধীদলের বিশাল একটা অংশকে নিশ্চিহ্ন করাই এই ধরনের অপারেশনের লক্ষ্য। এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, আসলে র‌্যাব যাদেরকে ধরে নিয়ে আসে, তাদের ভাগ্য আসলে উপরের নির্দেশের উপর নির্ভর করে। তিনি এই গোপন রেকর্ডিংয়ে গুমকৃত ব্যক্তিদের উপর কিভাবে অত্যাচার করা হয় এই বিষয়গুলোও বলেন। আসলে একটা অন্ধকার কক্ষের ঠিক মাঝখানে একটি হালকা আলোর বাতি দিয়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে নগ্ন অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে রাখা হয়, আর তার অন্ডকোষে ইট বেঁধে দেয়া হয়। ইটের ওজনের কারনে তার অন্ডকোষ অনেকেটা মুছড়িয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে এই ধরনের ব্যক্তি অবচেতন হয়ে যায়, আর বুঝাই যায় না সে কি মৃত না জীবিত।

ফাঁস হওয়া অডিওটি শুনতে ও তাদের প্রতিবেদন পড়তে সুইডিশ রেডিওর ওয়েবসাইট দেখুন।

এখন র‍্যাবের একটাই পরিচয় সারা দেশে “র‍্যাব একটি সরকারি সন্ত্রাসী বাহিনী”। না এটা শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বেই তাদের এই পরিচয়। আগে র‍্যাব ছিল সন্ত্রাসীদের মূর্তিমান আতঙ্ক, আর এখন সাধারণ মানুষদের।

সম্পর্কিত সংবাদ

Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর: ১৫ বছর পরেও বেপরওয়া খুনিরা, সুবিচার পায়নি শহীদ পরিবার

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • Trademark Web based poker Crazy Expensive diamonds Gambling enterprise Video slot Genuine Imitation Financial

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে বাঙালি উচ্ছেদ ও ডি ইসলামাইজেশন করা হচ্ছে

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ঢাবি ভর্তি আবেদনের ছবিতে মেয়েদের ওড়না নিষিদ্ধ!

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫

© Analysis BD

No Result
View All Result

© Analysis BD