অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
গরুর পালের মতো এক পাল নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ী নিয়ে ভারত সফরে গিয়েছেন শেখ হাসিনা। বেশ কিছু ধরেই সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আখ্যা দেয়া হচ্ছে। হাসিনার এই সফরে নাকি দুই দেশের মধ্যে ঝুলে থাকা অনেক দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান হবে।
দ্বিপাক্ষিক সমস্যা বলতে আওয়ামী লীগ নেতারা কি বুঝাচ্ছেন সেটা তারাই জানেন। কিন্তু এদেশের মানুষ মনে করে, সীমান্তে গুলি করে পাখির মতো মানুষ হত্যা ও বহুল আলোচিত চিস্তা চুক্তি না হওয়ায় হল বড় সমস্যা। এই দুইটা ছাড়া ভারতের বাংলাদেশের আর বড় কোনো সমস্যা নাই।
২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভারতের দয়ায় ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা দেশটির সাথে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করে। কিন্তু সেই সম্পর্কও দেশের মানুষের স্বার্থে নয়। হাসিনাকে বার বার বিনাভোটে ক্ষমতায় রাখতে হাসিনা ভারতের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে।
দেখা গেছে, শেখ হাসিনার বিগত ১৩ বছরের শাসনামলে ভারতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুবিধা দিয়েছে। ত্রিপুরায় পণ্য নেয়ার জন্য ট্রানজিট দিয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশকে কিছুই দেয়নি। এদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি হল, তিস্তা চুক্তি। কিন্তু বিগত ১৩ বছরে শেখ হাসিনা ভারতে তিস্তা চুক্তির জন্য রাজি করাতে পারেনি।
এমনকি হাসিনা যতবার ভারত গিয়েছে গোপনে অনেক চুক্তি করে এসেছে যেটা দেশের মানুষ জানে না। তবে হ্যা, হাসিনাও ভারত থেকে পেয়েছে। সেটা হল বার বার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার সুবিধা। কিছুদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন যেটা প্রকাশ্যে বলেছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকসহ শেখ হাসিনা এখন বহুমুখি সংকটে আছে। হাসিনা বুঝতে পারছে যে দেশের মানুষ তাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না। এর সাথে যোগ হয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। গতবার ভোটডাকাতি করে ক্ষমতায় এসে আমেরিকার নিরব সমর্থন পেয়েছিল। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘন ও চায়নার সাথে সম্পর্ক বেশি হওয়ায় আগামী নির্বাচন বা নির্বাচন পরবর্তী সমর্থন পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন হাসিনা। আর এজন্যই নির্বাচনের দেড় বছর আগে ভারতে গেলেন তিনি।
দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানের কথা বলা হলেও আসলে শেখ হাসিনার সফরের মূল লক্ষ্য হল আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বলা। শেখ হাসিনা এখন থেকেই ভারতের কাছ থেকে আশ্বাস পেতে চান যে আগামীতে ক্ষমতায় আসতে তারা সহযোগিতা করবে কি না। এবং আমেরিকাকে ম্যানেজ করার দায়িত্বও শেখ হাসিনা ভারতকে দিবেন।
Discussion about this post