অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছিল ভারত। তবে তাদের এই সহায়তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধে ভারত সহায়তা করেনি।
যদিও ভারতীয়রা বাংলাদেশ তাদের অকৃত্রিম বন্ধু দেশ বলে দাবি করে। বাস্তবে বাংলাদেশের জনগণকে ভারত বন্ধু মনে করে না। তারা একমাত্র আওয়ামী লীগকেই নিজেদের বন্ধু মনে করে। আর ভারতের কূটনীতিকরা প্রকাশ্যেই বলেছেন-আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশে ভারতের আর কোনো বন্ধু নাই। সেটা আবারও প্রমাণ হলো সম্প্রতি যুবলীগ সভাপতির সাথে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর আলোচনায়।
দেখা গেছে, গত রোববার ঢাকাস্থ ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ খ্যাত যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করে। তা নিয়ে সমালোকরা বলছেন ভারতের বন্ধুত্ব শুধু আওয়ামী লীগের সাথেই। তা না হলে যুবলীগের সাথে কেন এত আলোচনা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যুবলীগ মানেই একটা আতঙ্কের নাম। যুবলীগ মানেই যেন সন্ত্রাসী, ধর্ষক, মাদকব্যবসায়ী, কেসিনো ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজ। শুধু তাই নয় সংগঠনটির সভাপতি ফজলে নুর পরশ ও সেক্রেটারি মাইনুল হাসান নিখিল, কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য নিক্সন চৌধুরীসহ বর্তমান যুবলীগের নেতৃত্বে যারা রয়েছে সবগুলোই নিজ নিজ এলাকায় গডফাদার হিসেবে পরিচিত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কূটনীতিকদের সম্পর্ক থাকবে এটা স্বাভাবিক। আর রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কূটনীতিকদের গোপন সম্পর্ক থাকে বেশি। সরকারের পাশাপাশি তারা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেও প্রকাশ্যে ও গোপনে যোগাযোগ বজায় রাখে। কিন্তু কূটনীতিকরা কোনো রাজনৈতিক দলের অফিস পরিদর্শন করেছেন এমন নজির খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু ভারতীয় হাইকমিশনার একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের অফিস পরিদর্শন করেছেন। সেখানে নাকি তিনি আবার তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও করেছেন। ভারত-বাংলাদেশের যুবকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন। এর মধ্যে আসলেই রহস্য থেকেই গেলো।
এছাড়া ভারতীয় হাইকমিশনারের যুবলীগের অফিস পরিদর্শনের নিউজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই। সিনিয়র সাংবাদিকরাও প্রশ্ন তুলেছেন-যুবলীগের সাথে ভারতীয় হাইকমিশনারের কিসের কূটনীতি? বিদেশি একজন কূটনীতিক একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের অফিস পরিদর্শনে যাবে কেন? যুবলীগের সাথে তিনি কিসের আলোচনা করলেন?
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছিল ভারত। তবে তাদের এই সহায়তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধে ভারত সহায়তা করেনি। তাদের সহায়তার পেছনে দুইটি কারণ ছিল। প্রথমত; পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে আলাদা করে পাকিস্তানকে দুর্বল করা। দ্বিতীয়ত; বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করে এটাকে গ্রাস করা। বিগত ৫০ বছর ধরে ভারত যা করে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাকিস্তানের কবল থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ এখন ভারতের নিয়ন্ত্রনে।
Discussion about this post