অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সম্প্রতি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ করছে। এই খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিতর্ক নতুন করে আবারও দেখা গেছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই ঘটনায় তিনটি বসতবাড়ি ও মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী প্রেম ঘটিত কারনে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনই এই ভাঙচুর কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।
জানা যায়, ঘটনার দিন রাত আটটার দিকে ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ও দুটি পিকআপে করে বংশীপুর এলাকা থেকে হামলাকারীরা গ্রামে আসে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা পল্লব মণ্ডলের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন তরুণ ওই হামলায় অংশ নেন। এ সময় তারা তিনটি বসতবাড়ি ও মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে ও স্থানীয়দের আহত করে।
প্রথম আলো শিরোনাম করেছে ‘শ্যামনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর, আহত ১৩’ । যা অস্পষ্ট রয়ে গেছে কারা এই ভাঙচুর চালিয়েছে? অথচ সংবাদের ভেতরে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রেমঘটিত বিষয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা ওই হামলা করেছে।
ওসি নাজমুল হুদা বলেন, প্রেমঘটিত একটি বিষয় নিয়ে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা দুটি বসতবাড়ি ও একটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। তারা কয়েকজনকে মারধর করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়া,হামলার শিকার পিন্টু বাউলিয়া বলেন, হামলাকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে ছুড়তে বাড়িতে ঢুকে পড়ে তাঁর ভাইয়ের মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে তাঁর ভাইসহ পরিবারের ১৩ জন সদস্য আহত হন। যেখানে স্পষ্ট করে প্রেমঘটিত কারনেই আসলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তারপরেও গণমাধ্যম ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে।
এখন প্রশ্ন হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরীণ কোন্দোলে হামলা হলেও গণমাধ্যমের এই মিথ্যাচার বা অস্পষ্টতা কেন?
দেখা গেছে, বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক হামলার নাটক সাজিয়ে মুসলমানদের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমাদের দেশের হিন্দুরা প্রায়শঃই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ফিরিস্তি প্রচার করে, কিন্তু বাস্তবতা হলো অনেক সময় তা যে সাজানো নাটক সেটা প্রকাশিত হয়। তারা নিজেরা নিজেদের উপর হামলা/নির্যাতনের ঘটনা সাজায়। এতে তাদের উপকারও আছে। তাদের কাচা বাড়ি পাকা হয়, ত্রাণের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ হয়। প্রতিবেশীর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ থাকলে তাকে এ অজুহাতে ফাঁসানো যায়। প্রতিপক্ষদের মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা যায়। অন্যদিকে গণমাধ্যমও ইসলাম বিদ্বেসী মনোভাব থেকে অস্পষ্টতা ও মিথ্যাচার করে তাদের উদ্যেশ্য হাসিলে সহায়তা করে।
Discussion about this post