অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর অ্যানালাইসিস বিডিতে ‘চাঁদাবাজিতে লিপ্ত অনেক সাংবাদিক, ক্যাসিনো সুবিধাভোগী শতাধিক’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবদেন প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে ক্যাসিনোতে জড়িত শতাধিক সাংবাদিকের মধ্যে কয়েকজন সম্পাদক, প্রধান নির্বাহীসহ সিনিয়র কয়েকজন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। এছাড়া ক্রাইম রিপোর্টারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা যে কিভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে তাও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যানালাইসিস বিডির এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই এনিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রেসক্লাব, ক্লাব ও গণমাধ্যম হাউজগুলোতে কানাঘুষা-গুঞ্জন শুরু হয়। এমনকি, যারা ক্যাসিনো, মাদক ও চাঁদাবাজিতে জড়িত তাদের চেহারাও মলিন হয়ে আসছে।
অ্যানালাইসিস বিডির প্রতিবেদন নিয়ে অনেক সিনিয়র সাংবাদিককেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে। অনেকেই নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। অধিকাংশ সাংবাদিক মনে করছেন এটার সত্যতা শতভাগ। দেখা গেছে, এই রিপোর্ট প্রকাশের পর ক্লাব অফিসেও আগের মতো আর ভিড় থাকে না।
তবে, কেউ কেউ এই রিপোর্টের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও এটার সত্যতা প্রমাণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-আপনাদের সাংবাদিক মহলে খোঁজ করলেও ক্যাসিনোতে জড়িত অনেককে খুঁজে পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতে যদি পাই তখন কি করবো? বলেন আমাকে। কে কখন ধরা পড়ে ঠিক নাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সাংবাদিক পাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যারা ক্যাসিনো ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত তারা এখন ডিআরইউ, ক্রাব অফিস ও প্রেসক্লাবে যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছে। তারা বলছেন অ্যানালাইসিস বিডির প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসছে। এজন্য তিনি এভাবে বলছেন।
এদিকে, অ্যানালাইসিস বিডির প্রতিবেদনকে যারা ভিত্তিহীন বলে মনে করতো, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর তারাও এখন চুপসে গেছে। সব নিয়ে সাংবাদিক পাড়ায় এখন চলছে মহা আতঙ্ক।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজিতে লিপ্ত অনেক সাংবাদিক, ক্যাসিনো সুবিধাভোগী শতাধিক