ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের পরিবারগুলোকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিনেটরের মাথায় কাঁচা ডিম ফাটিয়ে আলোচনায় আসা তরুণ উইল কনোলি।
বন্দুক হামলার জন্য নিহতদেরকেই দায়ী করে বক্তব্য দেওয়ার পর তোপের মুখে থাকা সিনেটর ফ্রেজার এনিংয়ের মাথায় ডিম মেরে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কনোলি। তার পক্ষে আইনি লড়াই চালানোর জন্য ইতিমধ্যে ৪২ হাজার ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে।
ডিম ফাটানোর পরই ফ্রেজার এনিংয়ের সঙ্গে থাকা লোকজন ১৭ বছর বয়সী কনোলিকে মাটিতে ফেলে মারধর করে। বেআইনি কাজ করায় গ্রেপ্তারও হতে হয় তাকে।
কিন্তু তার কাজকে সমর্থন দিয়ে আরও ডিম কেনার জন্য ও আইনি লড়াই চালাতে ‘গোফান্ডমি’ নামের একটি পেজ থেকে অর্থ সংগ্রহের ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্যাপক সাড়াও পায় তারা। সর্বমোট ৪২ হাজার ডলার জমা হয় উইল কনোলির জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আনায় এই অর্থের বড় একটি অংশ এখন সে ক্রাইস্টচার্চের ক্ষতিগ্রস্তদের দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অনলাইনে অর্থ সংগ্রহের জন্য যিনি এই পেজ তৈরি করেছিলেন তিনি বলেছেন, কনোলি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগৃহীত অর্থের বড় একটি অংশ ক্রাইস্টচার্চ হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দান করার কথা জানিয়েছেন।
পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কনোলি টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ডিম মারার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন তিনি “রাজনীতিবিদদের ডিম মারবেন না। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এমনটি করলে একসঙ্গে ৩০ জন গুণ্ডার মুখে পড়তে হবে আপনাকে।”
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় মুসলিমদের দায়ী করা অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের সিনেটর ফ্রাসের অ্যানিং মন্তব্য করলে মাথায় ডিম ভেঙে প্রতিবাদ করোছিলো এই কিশোর। এরপর সিনেটরের বর্ণবাদী মন্তব্য নিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন রোববার প্রকাশ্যে এনিংয়ের সমালোচনা করেছেন।
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার