অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে গত ১২ ফেব্রুয়ারি। এই ঘটনায় চার আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রুপার ধর্ষক ও খুনীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবিতে এক অভিনব পন্থায় ব্যক্তিগত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জনৈক ব্যক্তি। রুপার ধর্ষক ও খুনীদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমৃত্যু দৌড়ানোর প্রতিজ্ঞা করেছেন তিনি। বয়স্ক সেই ব্যক্তিকে মিরপুরের রাস্তায় একটি প্লেকার্ড হাতে দৌড়াতে দেখা গেছে। তার প্লেকার্ডে লেখা রয়েছে- ‘রুপার ধর্ষক ও খুনীদের ফাঁসি কার্যকরের দাবিতে আমৃত্যু দৌড়’। অ্যানালাইসিস বিডির এই প্রতিবেদক চলন্ত বাসে থাকায় ঐ ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পারেননি। যে কারণে তার পরিচয়ও জানা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি রুপার আত্মীয় কেউ হবেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাতে ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৯৬৩) বগুড়া থেকে কর্মস্থলের (ময়মনসিংহ) উদ্দেশে যাচ্ছিলেন রুপা। ওই সময়ে চলন্ত বাসে একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় তখন দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নানা সংগঠন এই ঘটনার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। অবশেষে ঘটনার ১৭৩ দিন আর মামলার ১৭১ দিনের মাথায় আলোচিত এ মামলার রায় হয়। আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাসটির হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫)।
এছাড়া সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকৃত ছোঁয়া পরিবহনের বাসটি রূপার পরিবারকে সাতদিনের মধ্যে হস্তান্তরের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।