অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় আগামী ৮ ফ্রেব্রুয়ারি ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে অনেক আগ থেকেই বিতর্ক চলে আসছে। খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতারা বরাবরই বলে আসছে মামলাটি ভিত্তিহীন। রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়াকে হয়রানি করতেই সরকার হাতিয়ার হিসেবে ভিত্তিহীন এ মামলা বেছে নিয়েছে।
যদিও সরকার বলছে আদালতের উপর তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। মামলাটি আইন অনুযায়ীই চলছে। তবে, মামলার রায় নিয়ে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর মন্তব্যে মানুষের মধ্যে একটি নেতিবাচক ধারণা জন্ম দিয়েছে।
এদিকে, খালেদা জিয়ার এ মামলা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার মামলার রায়ের দিন ধার্য করার পর থেকে এ উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শুক্রবার বলেছেন, সরকার যদি এ রায় নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চায় তাহলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অন্যায় রায় হলে সারাদেশে আগুন জ্বলবে।
বিএনপি নেতাদের কাউন্টারে পাল্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। রায় নিয়ে বিএনপি কোনো আন্দোলনে গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারের মন্ত্রীরা।
সরকারের মন্ত্রী ও বিএনপি নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে পরিস্থিতি এখন জটিল আকার ধারণ করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতরাও খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
অপরদিকে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য হলেও সরকারের উচ্চমহলও পরিস্থিতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
অসমর্থিত একটি সূত্রে অ্যানালাইসিস বিডি জানতে পেরেছে, মামলার রায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেই যাবে। তাই, ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকার দেখবে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। রায়ের ঘোষণার কারণে যদি বড় ধরণের কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে রায় ঘোষণা পিছিয়েও যেতে পারে। আর সরকার যদি মনে করে যে রায়ের পর যেকোনো সৃষ্ট পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে তাহলে নির্ধারিত সময়েই রায় ঘোষণা হবে। এখন রায় ঘোষণার বিষয়টি নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর।