অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. আসিফ নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘মেয়র নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করে জনগণকে একটা টোপ দেয় সরকার। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন হয় পুরো উল্টো।
আসিফ নজরুল বলেন, আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করে তাহলে ২০১৪’র ৫ জানুয়ারির চেয়ে অনেক ভালো নির্বাচন হবে। পাঁচ বছর পরপর জনগণ সরকারকে বিচারের সুযোগ পায়। কিন্তু তার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা জনগণকে তোয়াক্কা করবে না।’
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) এর এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এ আয়োজনের শিরোনাম ছিল ‘রংপুরের সফল নির্বাচনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় করণীয়’। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
রংপুরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে ঢাবি’র এই অধ্যাপক বলেন, ‘রংপুরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে এমন আশা করা ঠিক হবে না।’
সভায় সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ইতিবাচকভাবে উপমা দিতে গিয়ে বলেন, ‘গ্রামবাংলার বহুল প্রচলিত প্রবাদ ব্যবহার করে বললে— রংপুরে সাত মণ ঘি জুটেছে, তাই রাধাও নেচেছে। অন্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হলে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন শুধু নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করে না। যদিও এজন্য কমিশনের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।’
সুজনের সম্পাদক আরও বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা, নিরপেক্ষতা ও সাহসিকতা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য হলেও তা যথেষ্ট নয়। আরও সুস্পষ্টভাবে বললে, সরকার ও রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা ও দায়িত্বশীলতার অভাব হলে সবচেয়ে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু আর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে না। তাই রসিক নির্বাচন মানুষের মধ্যে আশাবাদ সৃষ্টি করেছে ঠিকই, কিন্তু আগামী নির্বাচনগুলো কেমন হবে সেই ব্যাপারে কোনও সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে না।’
সভায় বক্তারা জানান, ঢাকা সিটি করপোরেশনে নতুনভাবে আরও যে ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে, সেইসব স্থানে সুজনের পক্ষ থেকে গণসংযোগ ও মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি এনে আলোচনার ব্যবস্থা করা হবে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো সফল হয়েছিল বলে মনে করেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুজনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আলী ইমাম মজুমদার। আলোচনা শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। একটি ভোটকেন্দ্রে দু’জন নিরাপত্তা রক্ষী সশস্ত্র থাকে। একজন পুলিশ, আরেকজন আনসার। বাকি সবার হাতে থাকে কেবল লাঠি।’