অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
মাদরাসার পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হাদিসকে অশ্লীল বলায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং রিপোর্টার অভিজিতের গ্রেফতার দাবি করেছে আওয়ামী ওলামালীগসহ সমমনা ১৩টি দল। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
রোববার (২৪ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে দলগুলো ১২ দফা দাবি তুলে ধরে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘রাসূল সা: এর একটি সহিহ হাদিসকে অশ্লীল বলে মন্তব্য করে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও রিপোর্টার অভিজিত মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত দিয়েছেন। এমন ধৃষ্টতার জন্য তাদেরকে অচিরেই গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’
ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের বিরুদ্ধে বক্তব্যের জন্য আল্লামা আহমদ শফিকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারিভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু হেফাজত নেতা আল্লামা শফী ঈদে মিলাদুন্নবী ও মিলাদ ক্বিয়াম শরীফকে চরম অবমাননা করেছেন। ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার বিষয়ে আল্লাহ নিজে কোরআনে আদেশ করেছেন। যা আমাদের মহানবীও (স.) পালন করেছেন। সেই ঈদে মিলাদুন্নবীকে বিরোধীতা করে আল্লামা শফি নিজেকে দ্বীন ইসলামের দুশমন হিসেবে প্রমাণ করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবীকে অবমাননাকারী আল্লামা শফী হারাম বিদাতে ডুবে থাকেন তার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। রাজধানীর মতিঝিল, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় তার নেতৃত্বে যে তান্ডব চলেছিল তার বিচার আজও হয়নি। তার ওপর আবার নতুন করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছেন। আমরা তার বিচার দাবি করছি।
১৩ দলের দাবিগুলো হলো- ঈদে মিলাদুন্নবী বিরোধীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া, মাদরাসার পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হাদিসকে অশ্লীল বলায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং রিপোর্টার অভিজিতের গ্রেফতার করতে হবে, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ বাড়ানো, মোসাদ ষড়যন্ত্রের চক্রান্তকারীদের গ্রেফতার, সরকারি ওয়েবসাইটে যারা সালাফি ওহাবী বিশ্বাসীদের গ্রেফতার, মুক্তিযুদ্ধকে পাক ভারত যুদ্ধ বলায় ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো, পবিত্র দ্বীন ইসলাম বলার কারণে কাউকে গ্রেফতার না করা, শিক্ষাবিদ নামধারী ইসলাম বিদ্বেষীদের তৎপরতা বন্ধ করা, মুসলমানিত্ব নির্মূলের শিক্ষা আইন অনুমোদন না করা ও শিক্ষানীতি-২০১০ বাতিল করা, এবং বাংলাদেশে ব্র্যাকসহ সন্দেহজনক এনজিওগুলো নিষিদ্ধ করা।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশন, বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোটসহ ১৩ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।