আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ন্যূনতম অবাধ-সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে আওয়ামী লীগ সেই নির্বাচন বয়কট করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু ও ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদ হাসান মিন্টুর মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভাটির আয়োজন করে সম্মিলিত ছাত্র ফোরাম।
গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি একটি আগাম কথা বলি, বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন ন্যূনতম অবাধ-সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন বয়কট করবে। কারণ অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসবে না।’
বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নয় জানিয়ে দলটির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, বিএনপি এখনও শেখ হাসিনার জন্য গলার কাটা। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৪ সালে যে যে কারণে আমরা নির্বাচনে যাই নাই, সে কারণে আমরা আগামী নির্বাচনেও যেতে পারি না।
তিনি বলেন, যে কারণে ২০১৪ সালে নির্বাচনে যাইনি সে কারণগুলোকে আমরা মোকাবিলা করে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সৃষ্টি করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। এজন্য আমরা সদা প্রস্তুত। তবে শেখ হাসিনার অধীনে নয়। কারণ এটা অসম্ভব।
গয়েশ্বর বলেন, ‘সর্বশেষ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের জাজমেন্টের অবজারভেশনে একটা জায়গায় লেখা আছে, আরও দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাই সরকারের নাম নিয়ে আমাদের এত কথাবার্তা বলার দরকার নাই।
এটা হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দিয়েই দিয়েছেন। এখন এটা শুধু কার্যকর করার জন্য আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হবে। এজন্য যদি আইনি লড়াই করতে হয় সেটা করার প্রয়োজনীয়তা আছে। সুতরাং যে দিন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখবে, সেদিন এই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ না করার হুমকি দেবে।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post