জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অসমাপ্ত জবানবন্দিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে একজন সামান্য মানুষ দাবি করে বলেছেন, দেশ-জাতির স্বার্থ ও কল্যাণে আমার জীবন, সীমিত শক্তি-সামর্থ এবং মেধা ও জ্ঞানকে আমি উৎসর্গ করেছি। অথচ বিচারের নামে আমাকে জনসমক্ষে অপমান অপদস্ত করা হচ্ছে। এ মামলার সব অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও পুরোপুরি বানোয়াট।
কোথায় আজ সাংবিধানিক শাসন-এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপি প্রধান বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সাথে শাসক মহলের বিরোধ প্রায় প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। ক্ষমতাসীনেরা কিসে তুষ্ট এবং কিসে রুষ্ট হবেন, সেকথা মাথায় রেখে বিচারকদের চলতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতি সম্প্রতি প্রকাশ্যেই বলেছেন, বিচার বিভাগের হাত-পা বাঁধা। বিচারকগণ স্বাধীন নন। এসব কারণেই আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে কি না তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বখশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় জবানবন্দী দেন বেগম খালেদা জিয়া।
প্রায় এক ঘণ্টা লিখিত জবানবন্দির পর শুনানি শেষে আদালত এক লাখ টাকা মুচলেকায় বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় জামিন দেন।
আদালত বলেন, অনুমতি স্বাপেক্ষেই খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন।
সকাল সোয়া ১১টায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হন। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়াকে তার নির্ধারিত আসনে বসার জন্য অনুমতি প্রর্থনা করেন। আদালতের সম্মতির পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন জামিন আবেদনের শুনানির জন্য দাঁড়ান।
ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশিল। তিনি কখনো আদালতের আদেশ অমান্য করেননি। তিনি আদালতকে সম্মান করেন। তিনি আত্মসমার্পণ করে জামিন প্রার্থনা করছেন। তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন, আমরা এ বিষয়ে মেডিক্যাল সার্টি ফিকেট জমা দিয়েছি। আমরা তার জামিন চাচ্ছি।
অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, আমরা আজকের দিনের কার্যক্রম শুরু করি। মামলার আর্গুমেন্ট শুরু হোক। এসময় আদালত বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষে দুটি জামিন আবেদন করা হয়েছে, সে বিষয়ে বলেন।
এরপর মোশারফ হোসেন বলেন, তিনি জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন। আমরা জামিন আবেদনে আপত্তি জানাচ্ছি।
এরপর জমির উদ্দিন সরকার বলেন, তিনি অসুস্থ ছিলেন, বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। এজন্য আদালতে হাজির হতে পারেননি।
এরপর আদালত আদেশ দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া জামিনে থাকবেন। এক লাখ টাকার বন্ডে জামিন দেয়া হল। বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি লাগবে।
এরপর খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। এ সময় ওই আবেদনের বিরোধীতা করে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার জন্য আবেদন করা উচিত ছিল।
এসময় ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, জামিন না দিলে এ আবেদন করার সুযোগ হয় না। এজন্য আমরা মৌখিকভাবে এ আবেদন করেছি। যেহেতু আদালত জামিন দিয়েছেন, এখন আমরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার জন্য প্রস্তুত আছি। এরপর আদালত খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার অনুমতি দেন এবং ১৫ মিনিটের জন্য আদালতের কার্যক্রম মুলতবি করেন।
বেলা সোয়া ১২টা থেকে বেগম খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখা শুরু করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টকে কেন্দ্র করে আমিসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার সব অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও পুরোপুরি বানোয়াট। সব অভিযোগ স্ববিরোধী বক্তব্যে ভরপুর। এই ট্রাস্টের অর্থায়ন, পরিচালনা বা অন্য কোনো কিছুর সাথে আমার নিজের ব্যক্তিগতভাবে কিংবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং এখনো নেই। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আইনগত কর্তৃত্ব ও এখতিয়ারের বাইরে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এমন একটি ভিত্তিহীন অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় বিচারের নামে দীর্ঘদিন ধরে আমি হয়রানি, পেরেশানি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছি। আমার স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে আমার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম।
তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন ধারণা প্রবল যে, দেশে ন্যায়বিচারের উপযোগী সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি এখন নেই। বিচার বিভাগ স্বাধীন ও স্বাভাবিকভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করতে পারছে না। শাসক মহলের নানামুখী তৎপরতা, হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তারের কারণে বিচারকগণ আইন অনুযায়ী ও বিবেক শাসিত হয়ে বিচার করতে পারছেন না। রায়, সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বিচারকগণকে তোয়াক্কা করতে হচ্ছে সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর। বিচারকদের পদোন্নতি ও নিয়োগ এবং হয়রানি ও বদলীর ক্ষমতা বিপুলভাবে রয়ে গেছে ক্ষমতাসীনদের হাতে। এই ক্ষমতা অপপ্রয়োগের ভয় তাই বিচারকদের মনে থাকাটাই স্বাভাবিক। নিম্ন আদালতে এই পরিস্থিতি ও পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাব আরো বেশি প্রকট।
বিএনপি চেয়ারপারসন এসময় তারেক রহমানকে অর্থ পাচারের একটি অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেয়ায় ওই বিচারককে দেশত্যাগ করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
খালেদা জিয়া আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি কোথায় বসে এই মামলার বিচার কাজ পরিচালনা করছেন? কোথায় স্থাপন করা হয়েছে আপনার এই এজলাস? এটা কি বিচারের কোনো প্রাঙ্গন? এটা কি কোর্ট-কাচারির কোনো এলাকা? পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও সাবেক বিডিআর বিদ্রোহের দায়ে অভিযুক্তদের বিচার করার জন্য এই আলীয়া মাদরাসা প্রাঙ্গনে এজলাস বসানো হয়েছিল। রাষ্ট্রদ্রোহ, হত্যা ও বিদ্রোহের বিচারের জন্য যেখানে এজলাস স্থাপন করা হয়েছিল সেখানে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার কেন করা হবে?
বেগম জিয়া বলেন, এজন্য আপনি দায়ী নন। আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার কাজ কোথায় বসে পরিচালিত হবে, এজলাস কোথায় স্থাপিত হবে, সেটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। শৃঙ্খলা ভঙ্গ, বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ ও খুন-ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তদের যেখানে বিচার হয়েছে সেখানে এজলাস বসিয়ে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বিচারের আয়োজন তারাই করেছে। এর মাধ্যমে বিচারের আগেই, বিচার চলাকালেই এবং বিচারের নামেই আমাকে জনসমক্ষে অপমান অপদস্ত করা হচ্ছে। এটাও বিচার প্রক্রিয়ায় এক ধরণের হস্তক্ষেপ।
তিনি বলেন, এখানেই শেষ নয়। ক্ষমতাসীনেরা আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সম্ভাব্য সব পন্থায় বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অবিরাম অপচেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এতিমের টাকা চুরি করে খেয়েছেন। এতিমের নামে টাকা এসেছে। মামলায় হাজিরা দিতে যান। একদিন যান তো ১০ দিন যান না, পালিয়ে বেড়ান। ব্যাপারটা কী? এতেই তো ধরা পড়ে যায় যে চোরের মন পুলিশ পুলিশ। একটি বিচারাধীন মামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন মানহানিকর, জঘন্য ও কদর্য উক্তির আমি কী জবাব দেব? যিনি প্রকাশ্যে এসব জঘন্য উক্তি করছেন তার বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও আত্মসাতের মামলা ছিল। তার নিকটাত্মীয় শেখ সেলিম এবং তার দল আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে সেসব দুর্নীতির কথা অনর্গল বলেছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এখনো দুর্নীতি, লুটপাট ও বিদেশী ব্যাংকে তাদের বিপুল অর্থভাণ্ডারের সংবাদ দেশবাসী ও সারা দুনিয়া জানতে পারছে। তারাই আবার কাঁচের ঘরে বসে অন্যের দিকে ঢিল ছুঁড়ছেন।
তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলার বিচার কাজ আপনার আদালতে হচ্ছে। আপনি জেনেছেন, জিয়াউর রহমানের নামে এতিমখানা স্থাপনের জন্য বিদেশ থেকে অনুদানের যে অর্থ এসেছিল তার একাংশ দিয়ে স্থাপিত এতিমখানায় এতিমদের কল্যাণ সাধিত হচ্ছে। সেই অর্থের বাকি অংশ যা ব্যাংকে গচ্ছিত ছিল তার প্রতিটি পয়সাই রক্ষিত আছে। ব্যাংকের সুদ যুক্ত হয়ে সেই টাকার পরিমাণ আরো অনেক বেড়েছে। এর একটি পয়সাও অপচয় বা তছরূপ হয়নি। কেউ চুরি করে খাওয়ার প্রশ্নও ওঠেনি। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেমন করে এতিমের টাকা চুরি করে খাওয়ার মতো মানহানিকর ও কুৎসিত উক্তি করলেন? বিচারাধীন বিষয়ে এমন মন্তব্য করার অধিকার ও এখতিয়ার কি তার আছে? এটা কি আইনের লংঘন ও বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ নয়? আপনি কি পারবেন এর প্রতিকার করতে? বিচার প্রভাবিত করার এই অন্যায় ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার প্রতিবিধান কি আমি আপনার কাছ থেকে চাইতে পারি না?
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য আজ পদদলিত। সারা জাতি আজ লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত। সমগ্র বাংলাদেশকেই আজ এক বিশাল কারাগার বানানো হয়েছে। সবখানেই চলছে অস্থিরতা ও গভীর অনিরাপত্তাবোধ। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মী এই মুহূর্তে কারাগারে বন্দী। বিএনপির প্রায় ৭৫ হাজার নেতা-কর্মী বিভিন্ন মেয়াদে কারা নির্যাতন ভোগ করেছেন। আমাদের দলের চার লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ২৫ হাজারের মতো মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বড় বেশি বলা হয়। কিন্তু কোথায় আজ সাংবিধানিক শাসন? কোথায় আজ সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার?
বেগম জিয়া বলেন, আমি নিজেকে একজন সামান্য মানুষ বলেই মনে করি। তবে দেশ-জাতির স্বার্থ ও কল্যাণে আমার জীবন, সীমিত শক্তি-সামর্থ এবং মেধা ও জ্ঞানকে আমি উৎসর্গ করেছি।
বেলা ১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়া তার বক্তব্য অসমাপ্ত অবস্থায় বাকি বক্তব্য রাখার জন্য সময় আবেন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ২৬ অক্টোবর শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলারও একই তারিখ ধার্য করা হয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, আবদুর রেজ্জাক খান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, নিতায় রায় চৌধুরী, মাহবুবউদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো: আসাদুজ্জামান, রাগীব রউফ চৌধুরী, খোরশেদ আলম, জাকির হোসেন ভূইয়া, মোহাম্মদ আলী, সগির হোসেন লিয়ন, মির্জা আল মাহমুদ প্রমুখ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে আদালতে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল কবির রিজভী, জয়নুল আবেদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, বরকতউল্লাহ বুলু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
এদিকে খালেদা জিয়া আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর মামলার ব্রিফিংয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে যাওয়া নিয়ে কয়েকজন আইনজীবীর মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ সিনিয়র আইনজীবীরা পরে তাদের শান্ত করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করেন।
এ মামলা অপর আসামি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান আছেন লন্ডনে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post