অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্পষ্টত সংবিধান লংঘন , সাংবিধানিক শপথ ভংগ এবং আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. তুহিন মালিক।
২১ জুলাই নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন- সংবিধান বা বিদ্যমান আইনে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ জানানোর কোন অধিকার প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়নি।
তুহিন মালিকের স্ট্যাটাসটি হুবহু অ্যানালাইসিস বিডির পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
“সংবিধান বা বিদ্যমান আইনে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ জানানোর কোন অধিকার প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য স্পষ্টতই সংবিধান লংঘন, সাংবিধানিক শপথ ভংগ এবং আদালত অবমাননার শামিল।”
এর আগে গত সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ২১ গ্রেনেড হামলা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন- ‘সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া রায়ে সংসদ নিয়ে কথা বলার আগে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ করা উচিত ছিল।’
প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় উঠে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে পদত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। যেটা সংবিধানের লঙ্ঘন, গনতন্ত্রের জন্য অসনি সংকেত।
উল্লেখ্য, ষোড়শ সংশোধনী বাতিল বিষয়ে আদালতের রায় ও পর্যবেক্ষন নিয়ে সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে। এই টানাপোড়েন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। উত্তপ্ত পরিবেশেই প্রধান বিচারপতি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টিও মনে করিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আইনজীবিরা প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের জন্য ২৪ আগস্ট পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
Discussion about this post