ড. মোহাম্মদ আল-আমিন
বন্যা তো এদেশে নতুন কিছু নয়! বন্যার কারণে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ মারা যায় দেখেছেন কখনো? হাঁস, পাখি, ব্যাঙ মরে মরে পড়ে থাকে বানের পানিতে- শুনেছেন কখনো? সুনামগঞ্জের হাওড় একাকায় এবারের বন্যায় তাই হচ্ছে। কেন হঠাৎ করে এই আপদ শুরু হলো? কেন মারাত্মক এই পরিবেশ বিপর্যয় ঘটল? কারণ কী?
শোনা যাচ্ছে যে, এবারের বানের পানি শুধু একা একা আসেনি, ভারত থেকে সাথে করে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়াম নিয়ে আসছে। এবং এই ইউরেনিয়াম টক্সিসিটির কারণেই হাওড় অঞ্চলে জলজ এবং স্থলজ প্রাণী মহামারী আকারে মারা যাচ্ছে।
তাছাড়া অসময়ে হঠাৎ এই বন্যা! যা হবার কথা নয়। তাও আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ জল! যার বিষক্রিয়ার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা হাঁস-মুরগি, মাছ- ব্যাঙ সহ অবলা প্রানীও।
আমার আতংকের জায়গা হলো, যদি সত্যি সত্যিই এই বানের পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়াম পাওয়া যায়, তাহলে শুধু পরিবেশ বিপর্যয় নয়, ঐই অঞ্চলের মানুষের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। আমার জানা মতে ঐসব এলাকায় সম্ভাব্য যেসব রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিবে তা হলো-
[১] ঐই অঞ্চলের মানুষেদের কিডনি রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিবে। ।
[২] ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবে কয়েক গুন।
[৩] সবচেয়ে মারাত্মক যে সমস্যা দেখা দিবে তা হলো- জেনেটিক মিউটেশানের কারণে প্রতিবন্ধী শিশুর সংখ্যা বেড়ে যাবে ঐ এলাকায়। যা চলবে বংশ পরম্পরায়। জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে এটম বোমার তেজস্ক্রিয়তার ফলে এখনও সেখানে প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হয়।
আমি কায়মনো বাক্যে শুধু এই প্রার্থনা করি, এই বানের পানিতে যেন কোন ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব না পাওয়া যায়। আল্লাহ তোমার কুদরতি মহিমায় এই দরিদ্র জনপদকে তুমি হেফাজত করো মাবূদ। এই নিষ্পাপ মানুষগুলো জানেনা ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা কতটা বিষাক্ত! কতটা ভয়ঙ্কর!
লেখক: পোষ্ট ডক্টরাল রিসোর্স ফেলো, দক্ষিণ কোরিয়া
Discussion about this post