পানামা পেপার ফাঁস হওয়ার মামলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করার মতো পর্যাপ্ত নথি নেই জানিয়ে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
২০১৫ সালে পানামার আইনি প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার এক কোটি ১৫ লাখ নথি ফাঁস করে বেনামি একটি সূত্র। এসব নথিতে ভিন দেশি (পানামার বাইরের) দুই লাখ ১৪ হাজার ৪৮৮ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তথ্য ছিল। এর মধ্যে ১৯৭০ দশকেরও কিছু নথি পাওয়া গেছে। এসব নথিতে বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, খেলোয়াড়দের কর ফাঁকি কিংবা দুর্নীতির বিষয় উঠে আসে।
ফাঁস হওয়া কিছু নথিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সেই ঘটনায় করা মামলার রায় ঘোষণাকালে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত আজ কীভাবে কাতারে অর্থ পাচার হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে যৌথ তদন্ত দল (জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম তথা জেআইটি) গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত একই সঙ্গে প্রতি দুই সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চে প্রতিবেদন দিতে জেআইটিকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া নওয়াজ শরিফ ও তাঁর দুই ছেলে হাসান ও হোসেনকে জেআইটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে।
পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের এই আদেশ ৩-২-এ বিভক্ত। মোট ৫৪০ পৃষ্ঠার রায় দেওয়া হয়েছে।
আদালতের এই রায়ে খুশি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তাঁর পরিবার। রায়ে আনন্দ প্রকাশ করে টুইট করেছেন নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম।
সূত্র: এনটিভি অনলাইন
Discussion about this post