অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা–কর্মীরা। ফলে ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। চারটি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সকালে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে অবরোধ করেছেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা। অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস–পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। শাটল ট্রেনও বন্ধ রয়েছে। এই ট্রেনের চালককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার পাঁচটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা ছিল। এগুলো হলো চারুকলা ইনস্টিটিউট, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস, ফাইন্যান্স বিভাগ ও ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ।
ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী আমির মোহাম্মদ মুছা বলেন, যেহেতু শাটল ট্রেন ও শিক্ষকের বাস ক্যাম্পাসে আসতে পারেনি। তাই এই চারটি বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া নগরের চারুকলা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা ছিল। এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের অবস্থান ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে। ক্যাম্পাসে অবরোধ থাকলেও এর খুব একটা প্রভাব ওই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ে না।
রোববার রাতে চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরই পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। রাতেই শুরু হয় ভাঙচুর, মারধর ও অবরোধ। এরপর রাত একটায় মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় কমিটি পুনর্গঠিত না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবরোধ করার ঘোষণা দেন তাঁরা। এর জেরে সকাল আটটার দিকে নগরের ঝাউতলা রেলস্টেশন থেকে শাটলের চালককে অপহরণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রদের ৫টি আবাসিক হলের অন্তত ৪০টি কক্ষ ভাঙচুর করেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক সাহিল কবিরকে মারধর করা হয়। মারধরের শিকার সাহিল পরে চবির চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা নেন।
শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, চবির আলাওল হলের অন্তত ১৫টি, এ এফ রহমানের ৫টি, সোহরাওয়ার্দীর ১৫টি, শাহজালালের ৪টি ও শাহ আমানতের ৬টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে।
নগরের বটতলী থেকে ক্যাম্পাসে দিনে সাতবার আসা–যাওয়া করে শাটল ট্রেন। এই ট্রেনে দৈনিক ১০ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করেন। কিন্তু অবরোধের কারণে এই ট্রেন বন্ধ রয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সকালে শাটলের চালককে অপহরণ করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। তাই শাটল চলাচল বন্ধ রয়েছে। চালক অপহরণের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।’
Discussion about this post