অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া লাখ লাখ কোটি টাকাকে বৈধতা দিয়েছে। অবৈধ অর্থপাচারকারীরা যদি টাকা ফিরিয়ে আনে তাহলে তাদেরকে আইনি সুরক্ষা দেবে হাসিনা। অর্থাৎ অর্থপাচারকারীরা এখন থেকে নির্দোষ। ৭ শতাংশ করের বিনিময়ে শেখ হাসিনা তাদের পাপগুলোকে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে দিয়েছেন।
বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী এই ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই সারাদেশে একটা সমালোচনার ঝড় উঠে। অর্থনীতিবিদরা এ বিষয়ে জোর আপত্তি তুলেছেন। সবাই বলছেন-সরকারের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অনৈতিক। সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে অর্থপাচারকারীরা আরো উৎসাহীত হবে। অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা কারো কথাই পাত্তা দিচ্ছে না। বরং তাদের এই অনৈতিক সিদ্ধান্তের পেছনে তারা খোড়া যুক্তি দিচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হল-হঠাৎ করে শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? আইন লঙ্ঘন করে তিনি অবৈধকে বৈধতা দিচ্ছেন কেন? পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা তাদের দায়িত্ব। অর্থপাচারকারীদেরকেও খুঁজে বের করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু সরকার সেটা না করে ৭ শতাংশ করের বিনিময়ে তাদেরকে ছাড় দিচ্ছে কেন? এর পেছনের রহস্য কি?
অ্যানাালাইসিস বিডিতে একাধিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব প্রশ্নের উত্তর পরিস্কার। দেখা গেছে, রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা নেই। লুটপাট-দুর্নীতি করে সরকার সব টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এখন টাকার জন্য ধীরে ধীরে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিছু দিন আগে সরকার ঘোষণা দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সকল পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বাতিল করেছে। এসবের পেছনে কারণ একটাই। আর সেটা হল শেখ হাসিনার কোষাগারে এখন আর টাকা নাই।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, খুব অল্পদিনের মধ্যে ডলার ক্রাইসিস বড় আকার ধারণ করতে পারে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় দুইটিই কমছে। এর মধ্যে বাড়ছে আমদানি দায়। যে পরিমাণ ডলার রিজার্ভ আছে তা দিয়ে আর বেশি দিন চালানো সম্ভব হবে না। এই জন্য শেখ হাসিনা এখন কোনো উপায় না দেখে দলের যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের কিছু টাকা ফেরত আনতে উদ্যোগ নিয়েছে। আর তাদেরকে বৈধতা দিতেই শেখ হাসিনা ৭ শতাংশ করের কথা বলছে।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের এই উদ্যোগ কোনো কাজে আসবেনা। যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে, তারা কখনো আর সেই টাকা ফেরত আনবে না। তারা জানে টাকা ফেরত আনলে নিশ্চিত তাদেরকে ধরা খেতে হবে।
তারা আরও বলছেন, শেখ হাসিনা এখন যতই চেষ্টা করুক না কেন-দেশের অর্থনীতিকে আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারবে না। সামনে যদি রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় না বাড়ে তাহলে পরিস্থিতি খুব শিগগিরই ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
Discussion about this post