অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
কথিত উন্নয়নের নামে লুটেপুটে সব সেক্টর শেষ করে এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারে থাবা দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। বর্তমানে দেশে কোনো অস্থিরতা, লকডাউনও না থাকার পরেও নিত্যপণ্যের বাজারে জ্বলছে আগুন। দেখা গেছে, সরু ও মোটা চাল, সয়াবিন, পাম অয়েল সুপার, পিয়াজ, রসুন, ব্রয়লার মুরগি, জিরা, ডাল, ছোলা, আদা, খোলা ময়দা ও এলাচের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়ে গেছে সবজির দামও।
এরমধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে পিয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি সরু ও মোটা চালের দাম ৩.২৫ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ ৫২.৬৩ শতাংশ ও আমদানি করা পিয়াজ ৪২ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের দাম ০.৭১ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি প্রতি লিটার পাম অয়েল সুপারের দাম ১.৫০ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সয়াবিন লুজ ১.৫০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৫ শতাংশ ও আমদানি করা রসুন ৯.০৯ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ৬.০৬ শতাংশ, চিনি ১.৯৪ শতাংশ, জিরা ২.৮৬ শতাংশ, ময়দা (প্যাকেট) ২.১১ শতাংশ, আটা (প্যাকেট) ১.৩৫ শতাংশ, আমদানি করা আদা ১৩.০৪ শতাংশ ও ছোট দানার এলাচ ৫.৪৫ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন হল-হঠাৎ করে এক সাথে সব পণ্যের দাম বেড়ে গেল কেন? সরকারের মন্ত্রীরাও বলছে কোনো সমস্যা নাই। পর্যাপ্ত মজুত আছে। কথা হল-পর্যাপ্ত মজুত থাকলে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে কেন? ব্যবসায়ীদের কি এতই সাহস যে তারা চাইলেই দাম বাড়িয়ে দিতে পারে?
খোঁঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সিন্ডিকেডের মূলহোতা হল সরকার। সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজন এটার সাথে জড়িত। গত দুই সপ্তাহে তারা বাজার থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যার কারণে ব্যবসায়ীদে বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারণ, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংক লুটের পর এবার বাজারে পড়েছে আওয়ামী নামক শকুনদের থাবা। এই শকুনগুলো ক্ষুধার্ত হলেই খাবারের জন্য রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের উপর থাবা বসায়। এই শকুনদের হিংস্র থাবায় রাষ্ট্রের সব অর্থনৈতিক খাত একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। কথিত উন্নয়নের নামে ওরা লুটেপুটে সব সেক্টর শেষ করে দিয়েছে। ওদের খাওয়ার আর জায়গা নাই। এখন ওদের খাদ্যের দরকার হলেই থাবা বসায় নিত্যপণ্যের দামের উপর।
Discussion about this post