অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সারাদেশে যখন কথিত লকডাউন উঠিয়ে দিয়ে শোপিংমল থেকে শুরু করে অফিস- আদালত, ব্যাংক, কারখানা সবকিছু চলছে ঠিক তখনও আবারও বাড়ানো হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ বাড়ালো সরকার।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান ছুটি ৩১ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। এই ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রায় দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর সবকিছু খুলে রেখে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক মহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও।
তারা বলছেন, কথিত লকডাউন দিয়ে সরকার মানুষেকে দমাতে পারেনি। জীবিকার তাগিদে মানুষ ছুটেছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এরপর বাধ্য হয়ে সবকিছু খুলে দিতে বাধ্য হয়। কিন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের একতাবদ্ধ হতে না পারার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। ফলে সরকার পতনের আশঙ্খা থেকেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না সরকার।
অভিভাবকদের এমন কথার যৌক্তিকতা পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাংলার আকাশে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারেও বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকার হটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক আন্দোলনের কোটা সংস্কার, নিরাপদ সড়ক এসব আন্দোলন তো আমরা দেখেছি। সেই প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে অস্থিতিশীলতার প্রস্তুতিও তারা নিচ্ছে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকে, ষড়যন্ত্রের স্রোতকে আরও তীব্র করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এসব আশঙ্খা থেকে সন্ত্রাস খ্যাত সংগঠন ছাত্রলীগকে উস্কে দেন। মেধা সৎ ছাত্র রাজনীতি আজকের বাস্তবতা। তিনি বলেন, কাজেই ছাত্রলীগকে আজ আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মেধা সৎ ছাত্র রাজনীতি আজকের বাস্তবতা। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করে মাঠে নামতে হবে।
চলতি বছর মার্চ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ বছর বন্ধ থাকার পর খোলার দাবিতে ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়াছে। দাবি তুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার। কিন্তু করোনা সংক্রমন বাড়ার অযুহাত দেখিয়ে সরকার কথিত লকডাউন ঘোষণা করে। এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানুষিক রোগে ভুগছেন অনেক শিক্ষার্থীরা। অসক্তি হচ্ছেন বিভিন্ন গেমস, পর্ণগ্রাফিসহ বিভিন্ন রকম মাদকে। এছাড়া স্কুল না থাকায় অসহায় পরিবার কোমোলমতি শিশুকে কাজে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের ভীতি ও জাতিকে নিরক্ষর করার মিশন বাস্তবায়ন করতেই শিক্ষপ্রতিষ্ঠান খুলছেনা সরকার। সরকার চেয়েছিলো বাংলাদেশকে নিরক্ষর করে দেশকে লুট করে নিতে। করোনা তাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। করোনার অযুহাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এরপর সব খুললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা খোলার কোন তৎপরতা সরকারের মধ্যে নেই। তাই দেশের কল্যানে কথা চিন্তা করে আগামীর প্রজন্মের কথা চিন্তা করে শিক্ষপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সরকারের নৈতিক দ্বায়িত্ব।
Discussion about this post