অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সরকারের অব্যাহত চাপ, শীর্ষনেতাদেরকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন ও কওমী মাদরাসাগুলো বন্ধ করে দেয়ার হুমকিমুখে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
রোববার রাতে কমিটি বিলুপ্ত করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে-আহ্বায়ক কমিটিতেও সরকার সন্তোষ্ট নয়। কমিটি বিলুপ্তির পরও হাটহাজারীতে বাবুনগরীর নামে দুইটি মামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে পরিচিত মাওলানা মইনুদ্দিন রুহি দাবি করেছেন-বাবুনগরী তার পছন্দের লোক দিয়েই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন।
এখন পর্যন্ত হেফাজতের ১৫ জন শীর্ষনেতাকে গ্রেফতার করে তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে সরকার। গোপন সূত্রে জানা গেছে-আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকেও যেকোনো সময় গ্রেফতার করতে পারে। একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি বলছে, ২৯ এপ্রিল চলমান লকডাউন শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সেটা বাড়িয়ে সরকার ৫ মে পর্যন্ত করেছে। সরকারের উদ্দেশ্য হল-এই সময়ের মধ্যে জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রেফতার করা। লকডাউনের মধ্যে গ্রেফতার করলেও হেফাজত মাঠে নামতে পারবে না।
জানা গেছে, জুনায়েদ বাবুনগরী যে ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে সেটাও বিলুপ্তি ঘোষণা করতে তাকে বাধ্য করা হবে। এটা বাতিল করে নতুন একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। যেটাতে থাকবে আনাস মাদানী, মইনুদ্দিন রুহি ও মুফতি ফয়জুল্লাহ গ্রুপের লোকজন। এরপরই হেফাজতের নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেবে সরকার।
একাধিক সূত্র থেকে আরো জানা গেছে, আগামীতে হেফাজতের যে কমিটি হবে সেটা হবে সরকারের উদ্যোগে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুসারে। কমিটিতে আমির, মহাসচিব, নায়েবে আমির, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের দায়িত্বে কারা থাকবে সেটা নির্ধারণ করবে সরকার।
রাজনীতিক বিশ্লেষকররা বলছেন, শেখ হাসিনা তার পছন্দের লোকদের দিয়ে হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন করবেন। যাতে করে-নতুন হেফাজত সব সময় শেখ হাসিনার কথায় উঠা-বসা করে। তার নমুনা ইতপূর্বে দেখা গেছে। আল্লামা শফি ইন্তেকালের পর তার ছেলে আনাস মাদানীকে দিয়ে কোনঠাসা করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনের মুখে ব্যর্থ হয় সরকার।
Discussion about this post