অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশে নতুন নতুন মুফতি ও জ্ঞানপাপী জন্ম নিচ্ছে। ভাস্কর্যকে হালাল করতে এই জ্ঞানপাপীরা ইতিহাস বিকৃত করে মুসলমানদেরকে জ্ঞান দিচ্ছে। যারা জীবনে কুরআন-হাদীস ছুয়ে দেখেনি তারাও কুরআন-হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা শুনাচ্ছে জাতিকে।
কিছুদিন আগে জিয়াউল হাসান নামে সরকারের এক গৃহপালিত জানোয়ার তার বাবা মুজিবের ভাস্কর্যকে জাযেজ করতে পবিত্র কাবাঘরকে ভাস্কর্য বলে মন্তব্য করেছে। তার কথা শুনে-টকশো উপস্থাপক পর্যন্ত অবাক হয়ে গেছেন।
মাওলানা নামধারী এই পাপিষ্টের বক্তব্যের পর সারাদেশে সমালোচনার ঝড় উঠে। ক্ষোভে ফুসে উঠে আলেম সমাজসহ তাওহিদী জনতা।কথিত মাওলানাকে গ্রেফতারেরও দাবি উঠে।
মানুষের ক্ষোভের সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কাবাঘরের ভেতরে সংরক্ষিত হাজরে আসওয়াদ পাথরকে সরাসরি মূর্তি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ ও ভারতের এজেন্ট হিসেবে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি’র একটি সাক্ষাৎকারে ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, অনেকে জানে না, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই-রাসুল(স) যখন মক্কা বিজয় করেন তখন সবগুলো মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল, কিন্তু একটি মূর্তি রেখে দেয়া হয়েছিল, যেটাকে উল্কাই বলেন আর পাথরই বলেন, যেটাকে আপনারা চুমু দিতে যান।
বিষয়টা একেবারে ক্লিয়ার যে, জাফরুল্লাহ এখানে হাজরে আসওয়াদ পাথরকে মূর্তি বলে আখ্যা দিয়েছেন।মূর্তি হলো আল্লাহর নিষিদ্ধকৃত বস্তু। যেটা সম্পূর্ণ নাপাক।এটা যারা বানাবে তারা মুশরিক।
অপরদিকে, হাজরে আসওয়াদ হলো এমন এক পবিত্র পাথর-যেটা চুমু দিলে একজন মুসলমানের জীবনের সব গুনা আল্লাহ মাফ করে দেন।অথচ-সেই পবিত্র পাথরকে মূর্তি বললেন কথিত বুদ্ধিজীবী নামের পরজীবী ডা. জাফরুল্লাহ।
সচেতন মানুষ মনে করছেন, ভাস্কর্য ইস্যুতে যারা পবিত্র কাবাঘরের উদাহরণ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া সরকারের উচিত। মুসলমানরা যেকোনো কিছুর চেয়ে পবিত্র কাবাঘরকে ভালবাসে। সরকার যদি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে পরিস্থিতি ভিন্নদিকেও যেতে পারে।