অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পরিচালিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা টেস্ট কীটের কার্যক্রম চালানোর জন্য এখনো সরকারি অনুমোদন মিলেনি।বিগত দুই মাস ধরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও তার প্রতিষ্ঠানের লোকজন সরকারের বিভিন্ন দফতরে ধরণা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছুতেই সরকার তাদেরকে কীটের অনুমোদন দিচ্ছে না। এমনকি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও বিশিষ্টজনেরাও কীটের অনুমোদন দেয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু কিছুতেই সরকারের টনক নড়ছে না।
সর্বশেষ কীটের অনুমোদন পাওয়ার জন্য শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহর গণস্বাস্থ্যের কীটের অনুমোদন না দেয়ার পেছনে অনেকেই বলছেন-তিনি সরকার বিরোধী তথা বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হওয়ায় সরকার অনুমোদন দিচ্ছে না। এনিয়ে অনেকেই সরকারের সমালোচনা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লোকজন সমালোচনা করছেন যে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যদি বিএনপিপন্থী না হতেন তাহলে কীটের অনুমোদন আরও আগেই দেয়া হতো।
কিন্তু জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অসল মতাদর্শ কি?
দেখা গেছে, তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী। স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে এদেশের বামপন্থীরে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বলা যায়-ছিন্ন ভিন্ন বামপন্থী দলগুলো মূলত রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের আশ্রয়েই গড়ে উঠেছে। এছাড়া জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ ভক্ত। সেই সূত্রেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার শুরু থেকেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
এছাড়া খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করা ছিল ভারত ও শেখ হাসিনার পূর্ব পরিকল্পনা। আর নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য তাদের টার্গেট ছিল বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো। আর ভারত ও শেখ হাসিনা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন ড. কামাল হোসেন ও জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দিয়ে।
এসব নিয়ে গত নির্বাচনের আগে তথ্য-প্রমাণসহ অ্যানালাইসি বিডিতে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সবশেষে দেখা গেছে, অ্যানালাইসিস বিডির সবগুলো প্রতিবেদনই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাসহ তৃণমূলের সব নেতাকর্মীই বুঝতে পেরেছিল যে, কথিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এটা সরকারের ইশারাতেই গঠিত হয়েছিল। তাদের টার্গেটই ছিল বিএনপিকে নির্বাচনে আনা। কিন্তু মির্জা ফখরুলও তাদের চক্রান্তের ফাঁদে পা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
আর জাফরুল্লাহ চৌধুরী যদি বিএনপির লোক হতেন তাহলে খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিতেন না। তিনি মূলত সরকারের হয়েই বিএনপিকে নির্বাচনে নেয়ার জন্য কাজ করেছেন।
সূত্র বলছে, চীন থেকে কীট আমদানি করলে সরকার এখান থেকে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করছে। এসব লুটপাট না করতে পারার আশঙ্কায় জাফরুল্লাহর কীট নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তারা। এছাড়া চীনের সাথে সরকারের সম্পর্ক গড়ে তুলে লুটপাটের নতুন পথ খুঁজছেন।