অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
গত রোববারও আওয়ামী লীগ নেতারা জোর গলায় দাবি করেছেন যে, শেখ হাসিনার কারণেই নাকি বাংলাদেশের সুনাম আজ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। তার বলিষ্ট নেতৃত্বের কারণেই নাকি এদেশ অনেক উন্নত হয়েছে। কথিত উন্নয়নের জোয়ারে নাকি সারাদেশ ভাসছে।
অথচ দেশের বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। চিত্র বলছে-বিগত ১১ বছরের শাসনামলে শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে চোর তৈরি করেছেন। পুরো দেশই এখন একটা চোরের খনিতে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা তৈরি করা চোরগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুটপাটের পর এখন তারা থাবা বসিয়েছে গরিবের ত্রানের চালে। আরও ভয়ঙ্কর বিষয় হলো-হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ করা টাকাও তারা এখন লূটেপুটে নেয়ার ব্যবস্থা করেছে।
দেখা গেছে, প্রাণঘাতী করোনার কারণে বেকার হয়ে পড়া দেশের ৫০ লাখ মানুষকে নগদ অর্থ দেয়ার তালিকা করেছে সরকার। সেই তালিকার মধ্যে সাড়ে ৪২ লাখ নামই ভুয়া। মাত্র সাড়ে ৭ লাখ লোকের তালিকা সঠিক এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ৫০ লাখ সুবিধাভোগীর এই তালিকা থেকে তারা সাড়ে সাত লাখ নাম প্রশ্নের ঊর্ধ্বে পেয়েছেন। বাকী সাড়ে ৪২ লাখ পুরোটাই প্রশ্নবিদ্ধ। যার মধ্যে নানা অনিয়ম অসঙ্গতি ধরা পড়ায় শুরুতেই তালিকা থেকে ১০ লাখ নাম বাতিল হয়ে গেছে। নাম , মোবাইল নম্বর,পেশা, জাতীয় পরিচয়পত্রে অসঙ্গতি থাকায় আরও বাতিল হবে বলে মুখ্য সচিব জানিয়েছেন।
দেখা গেছে, দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধিরা উপকারভোগীদের নামের সামনে নিজের বা আত্মীয়-স্বজনের মুঠোফোন নম্বর দিয়েছেন। কোথাও কোথাও দেখা গেছে একশ’ জন কিংবা দেড়শ’ জন উপকার ভোগীর নামের সামনে একই মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার এক ইউনিয়নে ৩০৬ জন উপকারভোগীর নামের সামনে মাত্র ৩ টি নম্বর দেয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও বিত্তশালী এমনকি ভুয়া, মৃত ব্যক্তির নামও তালিকায় রয়েছে।
হবিগঞ্জ, লালমনিরহাট, বগুড়া ও বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় একই কাণ্ড ঘটেছে। এমন অবস্থায় ৫০ লাখের ওই তালিকা সংশোধন করে আবারও নতুন করে পাঠাতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫০ লাখ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নগদ টাকা দেয়ার জন্য যে তালিকা করা হয়েছিল তাতে প্রথম দফায় মাত্র সাড়ে সাত লাখ হতদরিদ্রের নাম টিকেছে। এ ছাড়া অর্ধকোটি নামের তালিকা থেকে শুরুতেই ১০ লাখ নাম বাদ পড়েছে।